নিউইয়র্ক     শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুড়ে ছাই শত শত দোকান, এখনো বের হচ্ছে ধোঁয়া

বাংলাদেশ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০৩:০০ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০৩:০০ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
পুড়ে ছাই শত শত দোকান, এখনো বের হচ্ছে ধোঁয়া

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গেছে বহু দোকান

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে লাগা ভয়াবহ আগুন দীর্ঘ প্রায় ৬ ঘণ্টা পরে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দীর্ঘ সময় ধরে পুড়েছে মার্কেটের শত শত দোকান। এখনও মার্কেটের বিভিন্ন স্থান ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে আছে।

স্থানীয়ভাবে তথ্য নিয়ে জানা গেছে, মার্কেটটিতে পাঁচশ’র বেশি দোকান ছিল। এখানে সবজির দোকান, মাছের দোকান, কাপড়ের দোকান, জুতার দোকান, স্বর্ণের দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের দোকান রয়েছে। এসব দোকানে কাজ করে ২ হাজারের বেশি মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন।


রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে ভয়াবহ আগুন। ছবি: সংগৃহীত

ব্যবসায়ীরা বলছেন, দোকানগুলোতে কোটি কোটি টাকার মালামাল ছিল। গভীর রাতে মার্কেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ভেতরে ঢুকতে পারেননি। কেউ কেউ অল্প-স্বল্প মালামাল বের করে আনতে পারলেও বেশিরভাগই পুড়ে গেছে।

কৃষি মার্কেটে ছিল স্বর্ণের দোকানও। ভয়াবহ এই আগুনে পুড়ে গেছে ১৮টি স্বর্ণের দোকান। মার্কেটের ভেতরে থাকা ৯টি ও সামনে থাকা ৯টি দোকান পুড়ে যায়। দুবাই জুয়েলার্সের মালিক আমির হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, কৃষি মার্কেটে দুটি জুয়েলার্সের দোকান ছিল তার। ভোর চারটায় খবর পেয়ে মার্কেটে আসেন। তখনও তার দোকানে আগুন লাগেনি। কিন্তু মার্কেট বন্ধ থাকায় মালামাল সরাতে পারেননি তিনি। দুই দোকানে দুই কোটি টাকার জুয়েলার্সের মালামাল ছিল। সব পুড়ে গেছে।


রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে ভয়াবহ আগুন। ছবি: সংগৃহীত

এছাড়া আলিফ জুয়েলার্স, হেনা জুয়েলার্স, সিঙ্গাপুর জুয়েলার্স, মুন জুয়েলার্স, রিয়াদ জুয়েলার্স ও মা জুয়েলার্সের দোকান আগুনে পুড়ে গেছে। জানা গেছে, রাত ৩টা ৪৩ মিনিটের দিকে তারা আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। তাৎক্ষণিক ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আগুনের তীব্রতা বেড়ে গেলে যোগ দেয় আরও দুটি ইউনিট। এরপর আরও তিনটি ইউনিট যোগ দেয়। সর্বশেষ যোগ দেয় আরও ৪টি ইউনিট।

আগুন নেভাতে প্রধান উপকরণ পানির উৎসের সঙ্কট থাকায় এ মার্কেটের আগুন নেভাতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়ে ফায়ার সার্ভিস। পানির উৎস খুঁজতে গিয়ে আগুনের লেলিহান শিখা আরও ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তার পাশাপাশি স্থানীয়দের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে পানির বালতি হাতে তুলে নেন বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা। তারা স্থানীয়দের সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজে লেগে পড়েন। বিশেষ করে এতে সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক

শেয়ার করুন