ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আবারও সতর্কতা দিয়েছেন, ইউরোপের সর্ববৃহৎ জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। রুশ সেনারা কেন্দ্রের ছাদে বিস্ফোরকসদৃশ বস্তু স্থাপন করেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। গোয়েন্দা তথ্যের বরাতে তিনি জানিয়েছেন, পারমাণবিক কেন্দ্রের কয়েকটি পাওয়ার ইউনিটে এসব বিস্ফোরক স্থাপন করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁকে এ ‘ঝুঁকিপূর্ণ উস্কানির’ ব্যাপারে অবহিত করেন জেলেনস্কি। তিনি জানান, মাখোঁ জানিয়েছেন, ‘আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করে এ বিষয়টি সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণে’ রাখার ব্যাপারে কাজ করবেন তিনি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিনা বাধা ও রক্তপাতে ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক কেন্দ্রটি দখল করে নেয় রাশিয়া। এরপর দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে কেন্দ্রটিতে গোলাবর্ষণের অভিযোগ করেছে। জেলেনস্কি কয়েক দিন ধরে হামলার সতর্কতা দিয়ে এলেও, রাশিয়া উল্টো দাবি করছে ইউক্রেনীয়রাই সেখানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এদিকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে বার্তা দিলেন ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। সোমবার তাঁর টেলিগ্রাম চ্যানেল থেকে এক ভিডিও বার্তায় বিদ্রোহে সমর্থন দেওয়া ওয়াগনার যোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানান। বিদ্রোহকে আবারও ‘মার্চ অব জাস্টিস’ বলে আখ্যায়িত করেন তিনি। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীতে থাকা বিশ্বাসঘাতকদের উৎখাত করতে এবং রুশ সমাজকে গতিশীল করতে ওই বিদ্রোহ করেছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলে একটি আবাসিক ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১২ শিশুসহ অন্তত ৪৩ জন আহত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি রাশিয়ান ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র ছিল। এদিকে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে রাশিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ বিশেষভাবে ফলপ্রসূ হয়েছে– এমনটিই দাবি করেছেন একজন ইউক্রেনীয় সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।