নিউইয়র্ক     বুধবার, ১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশ রক্ষায় ‘সেনাসমাবেশের’ ঘোষণা পুতিনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
দেশ রক্ষায় ‘সেনাসমাবেশের’ ঘোষণা পুতিনের

আংশিক ‘সেনাসমাবেশের’ ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম দেশটি এ ধরনের সেনাসমাবেশ করতে যাচ্ছে। একইসাথে তিন লাখ সংরক্ষিত সেনাকে ইউক্রেন যুদ্ধে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধকে ঘিরে আজ বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) তিনি এ ঘোষণা দেন। রাশিয়ান জাতির উদ্দেশ্যে একটি টেলিভিশন ভাষণে পুতিন বলেছেন, যদি আমাদের দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা হুমকির সম্মুখীন হয়, আমরা আমাদের জনগণকে রক্ষা করার জন্য সমস্ত উপলব্ধ উপায় ব্যবহার করবো, -এটি শুধুমাত্র কথার কথা নয়।

তিনি আরও বলেন, পশ্চিমারা যদি ‘পারমাণবিক ব্ল্যাকমেল’ অব্যাহত রাখে, তাহলে রাশিয়া তার হাতে থাকা অস্ত্র দিয়েই এসবের জবাব দেবে। ইউক্রেনে রুশ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোর নাম উল্লেখ না করেই তিনি বলেন, ‘মুক্ত করা ভূখণ্ডের’ মানুষকে রক্ষার জন্য জরুরি সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। তাই আমি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে আংশিক সেনা সমাবেশের নির্দেশ দিয়েছি। এ সংক্রান্ত ডিক্রিটি (আইন) স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং আজ থেকেই এটি শুরু হবে। পুতিনের মতে, ইউক্রেনে শান্তি চায় না পশ্চিমারা। তারাই এ যুদ্ধের নায়ক।

রয়টার্স বলছে, পুতিন এমন সময় এ ঘোষণা দিলেন, যখন ইউক্রেনের পাল্টা হামলা ঠেকাতে লড়ছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের হামলার মুখে অনেক অঞ্চল থেকে পিছু হটতে এবং দখলকৃত ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু জানান, আংশিক ‘সেনাসমাবেশের’ অংশ হিসেবে তিন লাখ সংরক্ষিত সেনাকে ডাকা হবে। অতীতের সামরিক অভিজ্ঞতা আছে এমন ব্যক্তিদেরও অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

সের্গেই শোইগু আরও বলেন, সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৩৯৭ রুশ সেনা নিহত হয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র গত মাসে বলেছিল, ইউক্রেন যুদ্ধে ৭০ থেকে ৮০ হাজার রুশ সেনা নিহত বা আহত হয়েছে। এছাড়া গত জুলাই মাসে প্রায় ১৫ হাজার রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুতিনের এই আংশিক ‘সেনাসমাবেশের’ ঘটনায় নতুন করে চাপে পড়বে ইউক্রেন। অন্যদিকে ইউক্রেন সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে দেবে। তবে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক বলছেন, পুতিনের এ পদক্ষেপ অজনপ্রিয় হিসেবে প্রমাণিত হবে এবং নিজের ব্যর্থতা ঢাকতেই তার এ পদক্ষেপ।

এর আগে পরিবেশগত বিপর্যয়, অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা, খাদ্য ও জ্বালানির ঘাটতি, যুদ্ধসহ জরুরি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে শুরু হয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশন। সেখানে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে পুনরায় দুই দেশকে আহ্বান জানানো হয়।

পরিচয়/সোহেল

শেয়ার করুন