তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে বাংলাদেশি যুবক গোলাম সাঈদ রিংকুকে (২৮) জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নূরে-আলম আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, রিংকুকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
তুরস্কে পড়তে যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রিংকু যে ভবনে থাকতেন, গতকাল সোমবার ভূমিকম্পে তা সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। একই ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে এর আগে নূরে আলম নামে আরও এক বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়।
বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার কাগইল ইউনিয়নের দেওনাই গ্রামে রিংকুর বাড়ি। গোলাম রব্বানী ও সেলিমা খাতুন দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় রিংকু। তুরস্কের আজাজ শহরে থাকতেন তিনি। সেখানে খাহরামান মারাস সাচ্চু ইমাম ইউনিভার্সিটিতে সমাজ বিজ্ঞানে স্নাতক সম্মানে পড়েন। লেখাপড়ার খরচ জোগাতে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষকতা করতেন রিংকু। তবে এবার ফাইনাল পরীক্ষার কারণে চাকরিটি ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
একই গ্রামের বাসিন্দা ও রিংকুর ফুফা শুল্ক বিভাগে কর্মরত আবু হাসানাত লিমন জানান, রিংকুরা দুই ভাই ও এক বোন। বোনটি সবার বড়। ২০১৪ সালে রিংকু তুরস্কে যান। সেখানে ভর্তি হন বিশ্ববিদ্যালয়ে। রিংকুর ছোট ভাই রিফাত রহমান চীনের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে পড়ছেন। করোনা মহামারির কারণে তিনি দেশে ফিরে আসেন। সূত্র : আজকের পত্রিকা