নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘চ্যাটজিপিটি দিয়ে একাডেমিক চুরি’ থামানোর উপায়

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১১:০৫ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৩ | ১১:০৮ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
‘চ্যাটজিপিটি দিয়ে একাডেমিক চুরি’ থামানোর উপায়

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় আলোড়ন তোলা চ্যাটজিপিটি এরই মধ্যে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থাকে হুমকিতে ফেলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ফিরছে খাতা-কলমে, কারণ শিক্ষকদের দেওয়া অ্যাসাইনমেন্ট চ্যাটজিপিটিই করতে সক্ষম। আর সেগুলো উতরে যায় প্লেজারিজমও। এবার এ সমস্যা সমাধানে খোদ এগিয়ে এসেছে চ্যাটজিপিটির স্রষ্টা ওপেনএআই। বুধবার এক ব্লগপোস্টে তারা জানিয়েছে, নতুন একটি সফটওয়্যার টুল প্রকাশ করেছে তারা। যা চ্যাটজিপিটির মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বানানো টেক্সট শনাক্ত করতে সক্ষম।

‘এআই ক্লাসিফায়ার’ নামের সফটওয়্যারটি মূলত মানুষের লিখিত ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা লিখিত টেক্সটের ডেটা সেটের ওপর প্রশিক্ষিত একটি ভাষা মডেল। যার মূল কাজ এআইয়ের লেখা টেক্সট থেকে মানুষের লেখা টেক্সটকে আলাদা করা। এই ভাষা মডেলটিকে একাডেমিক অসততার মতো বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সহায়তা করতে পারবে। ওপেনএআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চ্যাটজিপিটির বেটা ভার্সন উন্মুক্তের পর একাডেমিক অসততা নিয়ে যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে, তা নিরসনে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চায় তারা।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উঠিয়ে দিয়ে হাতে-কলমে পরীক্ষা নেওয়া শুরু করেছে। এ ছাড়া আমেরিকার কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে চ্যাটজিপিটি নিষিদ্ধ করেছে ক্যাম্পাসে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের এমবিএ পরীক্ষা ও আইন অনুষদের বিষয়গুলোতে পাস করার নজির গড়েছে চ্যাটজিপিটি।

সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই নিয়ে এসেছে টেক্সটের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ‘চ্যাটজিপিটি’ ও টেক্সট থেকে নির্দেশনা নিয়ে ছবি আঁকতে সক্ষম এআই দ্যাল-ই। এই দুটি এআই একই সঙ্গে যেমন নতুন ভবিষ্যতের চেহারা আমাদের সামনে স্পষ্ট করেছে, তেমনি ভবিষ্যৎ শঙ্কার বিষয়েও জানান দিচ্ছে। কিছু সমালোচক যেমন এদের কার্যাবলির প্রশংসা করছেন, আবার অনেকে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় শিল্পের মৃত্যু দেখছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, এত দিনের মানুষের প্রভাব বিস্তারে থাকা চেনাজগৎ গল্প লেখা কিংবা ছবি আঁকার মতো সৃজনশীলতার ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি ঠিক কতটা হস্তক্ষেপ করতে পারবে?

স্ক্রলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত চ্যাটজিপিটি বা দ্যাল-ইর ওপর পুরোপুরি নির্ভরের সময় আসেনি। ছবি আঁকা কিংবা প্রবন্ধ লেখার ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এটিকে ভালোমানের করতে এখনও মানুষের সৃজনশীলতার স্পর্শ দরকার হচ্ছে। কারণ প্রবন্ধ লেখার ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা যত ভালোভাবে দেওয়া হচ্ছে, চ্যাটজিপিটির লেখাতে এর প্রভাব পড়ছে। সেই হিসেবে বলা যায়, আমাদের ক্লান্তিকর সম্পাদনার কাজ করবে চ্যাটজিপিটি। ফলে মানুষের পক্ষে আরও উদ্ভাবনী কাজে সময় দেওয়া সম্ভব। কিন্তু সমস্যাটি দেখা দিয়েছে, কম আয় করা পেশাদার চিত্রশিল্পীদের ক্ষেত্রে। এরই মধ্যে কাজ হারাচ্ছেন তারা। বলা হচ্ছে, দ্যাল-ই এ ধরনের শিল্পীদের কাজকে এক অর্থে অবমূল্যায়নই করছে। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

শেয়ার করুন