নিউইয়র্ক     শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যবসাবান্ধব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

গাইডলাইন তৈরিতে কাজ করছে আসিয়ান

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৩ | ০১:১৮ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৩ | ০১:১৮ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
গাইডলাইন তৈরিতে কাজ করছে আসিয়ান

আসিয়ানের খসড়া গাইডলাইনটি ইইউর চেয়ে তুলনামূলক বেশি ব্যবসাবান্ধব ছবি: টেকনোপিডিয়া

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক (এআই) খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে। প্রযুক্তিটির নৈতিক ব্যবহার ও ব্যবসাবান্ধব প্রয়োগ নিশ্চিত করতেই মূলত এ খসড়া নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। তবে এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এআই আইনের আদলে নয়, বরং তৈরি হয়েছে গাইডলাইন হিসেবে। এআইয়ের মাধ্যমে স্ক্যাম, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার, ডিপফেইকের মতো বিষয়গুলোর ঝুঁকি নিয়ে সতর্কতার বিষয়গুলো থাকছে এতে। খবর রয়টার্স।

এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১০ সদস্যদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) এরই মধ্যে তাদের খসড়াটি বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানির কাছে পাঠিয়েছে। যে তালিকায় রয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটা, আইবিএম ও গুগল। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য আসিয়ান প্রযুক্তিমন্ত্রীদের বৈঠকে খসড়াটি চূড়ান্ত করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আসিয়ানের প্রায় ৬৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষের জন্য একটি ‘এআই গাইডলাইন’ তৈরিতে সদস্য দেশগুলোর প্রযুক্তিমন্ত্রীরা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সম্মত হয়েছিলেন। প্রযুক্তিগত ঝুঁকি কমিয়ে অর্থনৈতিক ভারসাম্য তৈরিই এআই গাইডলাইনের মূল লক্ষ্য। তবে এ নীতিমালার প্রয়োগ কীভাবে হবে সেটি নিশ্চিত করবে দেশগুলোর সরকার ও নীতিনির্ধারকরা। এর আগে ইইউ এআইবিষয়ক আইনকে বৈশ্বিক একটি মানদণ্ডে পরিণত করার লক্ষ্যে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিল।

এআইভিত্তিক গভর্ন্যান্স ও নৈতিকতার সঠিক প্রয়োগের জন্য আসিয়ানের এ গাইডলাইনকে এরই মধ্যে সমর্থন করেছে সিঙ্গাপুর। দেশটির যোগাযোগ ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে জানান, ২০২৪ সালে ‘‌এআই গভর্ন্যান্স অ্যান্ড এথিকস’ শীর্ষক একটি বৈঠক সিঙ্গাপুরে হওয়ার কথা। সিঙ্গাপুরের পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন তৈরিতে আসিয়ান দেশ ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম অংশ নেবে।

প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা অবশ্য আসিয়ানের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক খসড়া গাইডলাইন বা নীতিমালাটিকে ইইউর এআই গভর্ন্যান্স প্রচেষ্টায় বড় ধাক্কা হিসেবে দেখছেন। কেননা কঠোর এআই আইনের পক্ষে বিশ্বব্যাপী সমর্থন অর্জন করতে পারেনি ইইউ। প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর জন্য কপিরাইটযুক্ত এআই জেনারেটেড কনটেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে সদস্য দেশগুলোর অনেকেই এ আইনের পক্ষে সম্মতি জানায়নি। এর বিপরীতে আসিয়ানের খসড়া নীতিমালা বা গাইডলাইনটি অনেকটাই ব্যবসাবান্ধব।

আসিয়ান এআই গাইডলাইনে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সাংস্কৃতিক পার্থক্য বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি এআইয়ের ঝুঁকি মূল্যায়ন কাঠামো ও এআই গভর্ন্যান্স প্রশিক্ষণ বাস্তবায়নেরও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এমনকি নীতিমালাটিতে স্থানীয় নির্ধারক ও নিয়ন্ত্রকদের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তনেরও সুযোগ রাখা হয়েছে। অন্যদিকে এআই ব্যবহারের মাধ্যমে যেসব নতুন ঝুঁকি তৈরি হতে পারে আসিয়ান নীতিমালায় সেসব বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। তবে সর্বোত্তমভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক ইস্যুগুলোকে সমাধানের জন্য প্রতিটি দেশকে এগিয়ে আসতে বলা হয়েছে।

শেয়ার করুন