নিউইয়র্ক     রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ২০

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৩ | ০৩:২০ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২০ মে ২০২৩ | ০৩:২০ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
খুলনায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ২০

খুলনায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে খুলনা প্রেস ক্লাব সংলগ্ন স্যার ইকবাল রোড থেকে বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ বের করলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আহতরা বিএনপির নেতাকর্মী। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্যার ইকবাল রোড থেকে বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করে। ঘটনাস্থলে আগে থেকেই বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। পুলিশ সমাবেশ স্থলের খুব কাছাকাছি এলে সড়কের দুই দিক দিয়েই বিএনপির মিছিল পুলিশকে অবরুদ্ধ করে ফেলে। মিছিল থেকে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন দলের নেতাকর্মীরা। মিছিলে অবরুদ্ধ পুলিশ পিছু হটলে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে। একপর্যায়ে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পরিস্থিতি চরম সংঘর্ষে রূপ নেয়। বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশের ওপর অতর্কিতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ।

বিএনপি খুলনা মহানগর শাখার সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন অভিযোগ করেন, পুলিশ বিনা উসকানিতে সমাবেশ পণ্ড করতে লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাসের শেল ও রবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান ও জাহিদুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা তিনি। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. তাজুল ইসলাম জানান, বিএনপির একটি কর্মী সমাবেশ ছিল খুলনা প্রেস ক্লাবে। তবে, ওই প্রোগ্রামে তাদের কেন্দ্রীয় নেতারা আসার পর বেশকিছু নেতাকর্মী রাস্তায় বসে যান। বন্ধ করে দেওয়া হয় যান চলাচল। পুলিশ একপর্যায়ে পেছনে গেলে বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকে পুলিশের ওপর অতর্কিতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ১০ জনকে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমীর খসরু চৌধুরীর দাবি, অবৈধ-অনির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় রাখার জন্য রাষ্ট্রের বাহিনীকে ব্যবহার করে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। সভা-সমাবেশ করার অধিকার সবার আছে। যদি সভা-সমাবেশ করতে না দেয়, তবে জনগণ তা কখনো মেনে নেবে না। খুলনায় বিএনপির সমাবেশ সম্পর্কে কেএমপি কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঁইয়া জানান, সমাবেশ করার কোনো অনুমতি ছিল না বিএনপির। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে গেলে উচ্ছৃঙ্খলরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে।সুত্র কালবেলা

এসএ/এমএএস/এমইউএ/টিএ/পরিচয়

শেয়ার করুন