নিউইয়র্ক     বৃহস্পতিবার, ১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তির সুরাহা ছাড়াই শেষ হলো পুতিন-এরদোয়ান বৈঠক

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২:৫৮ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২:৫৮ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তির সুরাহা ছাড়াই শেষ হলো পুতিন-এরদোয়ান বৈঠক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের মধ্যকার বহুল প্রত্যাশিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই নেতার তিন ঘণ্টার বৈঠকের পরও কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি পুনর্বহাল নিয়ে বড় কোনো ঘোষণা না আসেনি। তবে শিগশিরই এ চুক্তি পুনরায় সচল হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন এরদোয়ান। খবর রয়টার্সের।

আজ সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুতিনের সঙ্গে বহুল প্রত্যাশিত বৈঠক করতে কৃষ্ণসাগরের তীরবর্তী রুশ শহর সোচিতে যান এরদোয়ান। এরপর দুপুর ১টার দিকে তাদের এই বৈঠক শুরু হয়।

দীর্ঘ তিন ঘণ্টা পুতিনের সঙ্গে আলোচনার পর এরদোয়ান বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আমরা এমন একটি সমাধানে পৌঁছাব যা অল্প সময়ের মধ্যে প্রত্যাশা পূরণ করবে।’

এ সময় এরদোয়ানের পাশে দাঁড়িয়ে পুতিন বলেন, পশ্চিমারা এখনো রাশিয়ার কৃষি পণ্য রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছে। আমরা কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি পুনর্বহালের বিষয়টি বিবেচনা করব। আজও তুর্কি প্রেসিডেন্টকে আমি এ বিষয়টি বলেছি। রাশিয়ার কৃষি পণ্য রপ্তানির ওপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার বিষয়ে সম্পাদিত চুক্তি সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা শস্যচুক্তি পুনর্বহালের বিষয়টি বিবেচনা করব।

২০২২ সালের জুলাইয়ে রাশিয়া-ইউক্রেনের মাঝে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি হয়। এ চুক্তির আওতায় কৃষ্ণসাগর দিয়ে বিনা বাধায় এতদিন খাদ্যশস্য রপ্তানি করে আসছিল ইউক্রেন। তবে দাবি-দাওয়া পূরণ না হওয়ায় গত ১৭ জুলাই এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় রাশিয়া। মস্কোর দাবি, পশ্চিমাদের দেওয়া শস্য ও সার রপ্তানিতে বিধিনিষেধ তুলে নিলেই এই করিডোর পুনরায় চালু করা হবে।

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর এবারই প্রথমবারের মতো বৈঠকে মিলিত হন পুতিন ও এরদোয়ান। ফলে এই দুই নেতার আলোচনার পরপর কৃষ্ণসাগর শস্যচুক্তি পুনর্বহাল নিয়ে ঘোষণা আসবে এমনটাই ধারণা করা হচ্ছিল।

সোচি বৈঠকের আগে গত বছরের ১৩ অক্টোবর আস্তানায় বৈঠক করেছিলেন পুতিন-এরদোয়ান। তার আগে ২০২২ সালের ৫ আগস্ট সোচিতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। শুধু পুতিন নয়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সমান সুসম্পর্ক রয়েছে এরদোয়ানের।

শেয়ার করুন