নিউইয়র্ক     শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কম্বোডিয়ায় চীনা নৌ ঘাঁটি ভাবিয়ে তুলছে বিশ্বকে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
কম্বোডিয়ায় চীনা নৌ ঘাঁটি ভাবিয়ে তুলছে বিশ্বকে

কম্বোডিয়ায় নির্মিত হতে যাচ্ছে চীনা নৌ ঘাঁটি। বিশ্ব রাজনীতির উপর নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এ ঘাঁটি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের এই পদক্ষেপ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জন্য হুমকি হয়ে দাড়াতে পারে। তারা বলছেন, দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনা আরো বাড়াতে এবং আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সার্বভৌমত্বকে ভেঙে ফেলার জন্য কম্বোডিয়ায় আরো বেশি সংখ্যক ঘাঁটি তৈরি করবে বেইজিং।

চীন এবং কম্বোডিয়া উভয় দেশই দেশটির দক্ষিণ অংশে বেইজিং-অর্থায়নকৃত রিম নৌ ঘাঁটির আপগ্রেডের প্রথম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কম্বোডিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন, যে বন্দরটি সংস্কারের জন্য চীন আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে।এদিকে বেইজিং থাইল্যান্ডের উপসাগরে একটি সামরিক ফাঁড়ি চাইছে বলে জানা গেছে।

সংবাদমাধ্যম জাকার্তা পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কম্বোডিয়াকে চীনের পছন্দের পিছনে মূল কারণগুলো হলো, দেশটির অগণতান্ত্রিক হুন সেন সরকারের সাথে চীনের সুসম্পর্কের ইতিহাস রয়েছে। সেইসাথে দেশটি চীনা বিনিয়োগ এবং ব্যবসার জন্য উপযুক্ত অর্থনৈতিক সম্ভাবনা হতে পারে। কম্বোডিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কেও চীন হস্তক্ষেপে করছে। এর একটি উদাহরণ হল, কম্বোডিয়া ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ‘আঙ্কোর সেন্টিনেল’ যৌথ সামরিক মহড়া বাতিল করেছিলো।

দ্য জাকার্তা পোস্টের মতে, চীনা হস্তক্ষেপের কারণে কম্বোডিয়া-ভিয়েতনাম সম্পর্কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চীন হল কম্বোডিয়ার আমদানির বৃহত্তম উৎস। ২০২০ সালে তাদের মোট আমদানির ৩১ শতাংশ এসেছে কম্বোডিয়া থেকে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র কম্বোডিয়ার বৃহত্তম রপ্তানির অংশ। ২০২০ সালে তাদের রপ্তানির ২৫.২ শতাংশ কম্বোডিয়া থেকে আসে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কম্বোডিয়ার সম্পর্কের অবনতি এবং অর্থনৈতিক ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির অর্থনীতি ভেঙে পড়বে। এর ফলে কম্বোডিয়ার ওপর চীনের পক্ষগুলোর নিয়ন্ত্রণ আরো শক্তিশালী হবে।
পরিচয়/এমউএ

শেয়ার করুন