থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার কারাদণ্ড আট বছর থেকে কমিয়ে মাত্র এক বছর করে দিয়েছেন দেশটির রাজা মহা ভাজিরালোঙকোর্ন। এরমাধ্যমে থাকসিনের সাত বছরের দণ্ড মওকুফ করে দেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, থাকসিন সিনাওয়াত্রার কারাদণ্ড কমানোর ব্যাপারে একটি রাজকীয় গ্যাজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
১৫ বছর বিদেশে নির্বাসিত জিবন কাটানোর পর গত সপ্তাহে থাইল্যান্ডে ফিরে আসেন থাকসিন। তবে ব্যক্তিগত প্লেনে থাইল্যান্ডে নামার পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং আট বছরের কারাদণ্ড ভোগ করার জন্য কারাগারে পাঠানো হয়। তবে ওইদিন রাতেই বুকে ব্যথা ও উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যার কারণে তাকে আবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
থাকসিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন স্বজনপ্রীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন তিনি। আর এ অপরাধে তাকে আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রাজকীয় গ্যাজেটে বলা হয়েছে, ‘থাকসিন তার অপরাধ স্বীকার করেছেন এবং এজন্য অনুশোচনা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া এতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ ছিলেন।
থাকসিন থাইল্যান্ডে ফিরে আসার কয়েক ঘণ্টা পরই তার সমর্থিত ফিউ থাই পার্টির নেতা স্রেত্থা থাভিসিন দেশটির সংসদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তাকে সমর্থন জানান সেনা সমর্থিত আইনপ্রণেতারাও।
দীর্ঘ সময় দেশের বাইরে থাকলেও থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে থাকসিন সিনাওয়াত্রার একটি বড় প্রভাব ছিল। তার প্রতি অনুগত যেসব রাজনৈতিক দল ছিল সেগুলো নির্বাচনে ভালোই ফলাফল পাচ্ছিল।
ধারণা করা হচ্ছে, থাকসিন সেনাবাহিনীর সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে আপোষ করেছেন। এ কারণে তিনি আবারও দেশে ফিরতে পেরেছেন। ২০০৬ ও ২০১৪ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী থাকসিনের দলের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। সেনাবাহিনীর অভিযোগ ছিল, থাকসিনের দল দুর্নীতি এবং রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে কাজ করছিল।