নিউইয়র্ক     রবিবার, ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এরদোয়ানের আহ্বানকে স্বাগত জানালো রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ | ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ | ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
এরদোয়ানের আহ্বানকে স্বাগত জানালো রাশিয়া

সিরিয়া ইস্যুতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের আহ্বানকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। ওই আহ্বানে আঙ্কারা, মস্কো ও দামেস্কের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় কূটনৈতিক প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিলেন এরদোয়ান। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরআইএ নভোস্তির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

রাশিয়ার একজন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে আরআইএ নভোস্তির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরদোয়ানের প্রস্তাব অনুযায়ী তিন দেশের নেতাদের মধ্যে একটি শীর্ষ বৈঠক হতে পারে। এমন ধারণার বিষয়ে সিরিয়ার অবস্থান অবশ্য এখনও জানা যায়নি। তবে মস্কোর তরফে দামেস্কের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

আরোও পড়ুন।ইউরোপের সবচেয়ে বড় গ্যাস স্টোরেজ তুরস্কে

এর আগে বৃহস্পতিবার সিরিয়া ও রাশিয়ার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদবিরোধী প্রচেষ্টায় সহযোগিতার আগ্রহের কথা জানায় আঙ্কারা। সিরিয়া ও রাশিয়ার সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক ভিত্তিতে কাজ করার আগ্রহের কথা জানান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। তিনি বলেন, এজন্য প্রথমে তিন দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে বসা উচিত। এরপর পর্যায়ক্রমে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক হতে পারে। এরপর তিন দেশের নেতাদের শীর্ষ বৈঠকও হতে পারে। এরদোয়ান জানান, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও সাম্প্রতিক ফোনালাপে তার এই এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন।

এদিকে সিরিয়া ও ইরাকে ‘সন্ত্রাসীদের’ আশ্রয় নিতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, তার দেশ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পিকেকে এবং এর শাখা ওয়াইপিজি/পিওয়াইডিকে এই দুই প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিতে দেবে না। মেভলুত কাভুসোগলু বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এই সুযোগ দেবো না। এ বিষয়ে যে যাই বলুক না কেন, আমরা আমাদের যা যা প্রয়োজন তাই করবো।’

গত নভেম্বরে সিরিয়া ও ইরাকে সন্ত্রাসবিরোধী সামরিক অভিযান শুরু করে তুরস্ক। মূলত তুরস্কের কুর্দি মিলিশিয়া গোষ্ঠী পিকেকে এবং তাদের শাখা হিসেবে বিবেচিত ওয়াইপিজি/পিওয়াইডিকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে এই আন্তঃসীমান্ত অভিযান পরিচালনা করে দেশটি। আঙ্কারা বলছে, এই অভিযানের জন্য কারও কাছ থেকে অনুমতি নেবে না তারা। শুধু মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। এরদোয়ানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়লে আমরা কারও সম্মতি চাইবো না।’

উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে ইস্তাম্বুলে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় পিকেকে গোষ্ঠীকে দায়ী করে আঙ্কারা। যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। ওই বিস্ফোরণের পরই নতুন করে সিরিয়ার সীমান্ত এলাকায় কুর্দি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে আঙ্কারা।

শেয়ার করুন