নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে সৌদি আরব

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১:৪৫ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১:৪৫ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে সৌদি আরব

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সৌদি আরবকে বেশ কয়েক বছর ধরেই চাপ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ক্ষেত্রে এত দিন বাধা হয়েছিল ফিলিস্তিন ইস্যু। তবে ইসরায়েল ও সৌদি কর্তৃপক্ষ জোটবদ্ধ হওয়ায় এবার ফিলিস্তিন তাদের কঠোর অবস্থান পাল্টে নমনীয় হতে পারে, এমন গুঞ্জন রয়েছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রিয়াদে সৌদি আরবের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছে ফিলিস্তিনের শাসক দল প্যালিস্টিনিয়ান অথরিটির (পিএ) প্রতিনিধিদল। সৌদির সঙ্গে আলোচনার পর এখন মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গেও আলোচনায় বসবেন তারা।

সৌদি-ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা নিয়ে নমনীয় হলেও বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছে ফিলিস্তিন। তারা বলছে, বিপুল পরিমাণ অর্থ ও অধিকৃত পশ্চিম তীরের ওপর তাদের আরও নিয়ন্ত্রণ দিলেই দুপক্ষের মাঝে কোনো ধরনের চুক্তির বিষয়ে সম্মতি দেবেন তারা। তবে এ ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে উগ্র ডানপন্থি বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর জোট সরকারের শরিকরা।

শুধু ফিলিস্তিন নয়, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে শর্তজুড়ে দিয়েছে সৌদি আরবও। ফিলিস্তিনের স্বার্থ দেখার পাশাপাশি নিজেদের স্বার্থের দিকেও বেশ ভালো নজর রেখেছে মধ্যপ্রাচ্যোর অন্যতম এই পরাশক্তি। তারা বলছে, ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে। এই স্বীকৃতি দানের বদলে তাদের মার্কিন সব সর্বাধুনিক অস্ত্র, বেসামরিক পারমাণবিক চুক্তি ও ইউরেনিয়াম মজুত করতে দিতে হবে।

অনেক জটিল সমীকরণ থাকায় শিগগিরই এ বিষয়ে কোনো ঘোষণা আসবে না। বিষয়টিকে বাস্তবে রূপ দিতে বেশ ভালো সময় লাগবে বলেই মনে করে বিবিসি। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক জ্যাক সুলিভানও এ বিষয়ে এখনই বড় ধরনের কোনো ঘোষণার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন।

ফিলিস্তিন ছাড়াও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে সৌদি নাগরিকরা। কেনা ঐতিহাসিকভাবে তারা ফিলিস্তিনিদের সমর্থন দিয়ে আসছেন এবং তাদের প্রতি বেশ সংবেদনশীল। ফলে এ বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেওয়ার আগে নিজ দেশের মানুষকে আশ্বস্ত করতে হবে সৌদির ক্রাউন্স প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে।

২০২৪ সালেল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ইসরায়েল-সৌদির সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে পারলে, তা বড় কূটনৈতিক বিজয়ই হবে জো বাইডেনের জন্য। তবে এ ক্ষেত্রে তিনিও নিজের ঘরের বাধার মুখে পড়তে পারেন। মার্কিন অনেক আইনপ্রণেতা সৌদি আরবকে অস্ত্র দেওয়ার বিপক্ষে। এ ছাড়া বর্তমানে ইসরায়েলের উগ্র ডানপন্থি সরকারের নিয়ে অনেক মার্কিন আইনপ্রণেতাদের আপত্তিও রয়েছে। ফলে সব পক্ষকে এক করে একটি চুক্তি করতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হবে বাইডেন প্রশাসনকে।

তবে জো বাইডেনের জন্য এ ক্ষেত্রে পথের দিশা দিতে পারে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের আমলে স্বাক্ষরিত আব্রাহাম চুক্তি। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আব্রাহাম চুক্তির আওতায় চার আরব দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কোর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে ইসরায়েল। এ চুক্তির তিন বছরের মাথায় সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বাহরাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে দূতাবাস খুলেছে ইসরায়েল।

শেয়ার করুন