নিউইয়র্ক     বুধবার, ১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, ‘মূল্যহীন’ বলল রাশিয়া

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৩ | ০১:৪৩ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৩ | ০২:০০ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, ‘মূল্যহীন’ বলল রাশিয়া

ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের জন্য পুতিনকে দায়ী করে আইসিসির একজন বিচারক ১৭ মার্চ শুক্রবার এ আদেশ দেন।

এতে ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ এবং শিশুদের ইউক্রেন থেকে অবৈধভাবে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে পুতিনকে দায়ী করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে পুরোদমে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।

পুতিন ছাড়াও রাশিয়ার শিশু অধিকার কমিশনার মারিয়া আলেক্সেইভনা লোভা-বেলোভার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আইসিসি।

তবে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।

গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই দেশটিতে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। কিন্তু এসব অভিযোগ বরাবরই জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করে এসেছে মস্কো।- রয়টার্স

গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ‘মূল্যহীন’ বলল রাশিয়া

ইউক্রেনের শিশুদের জোরপূর্বক রাশিয়ায় নিয়ে গিয়ে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করার অভিযোগ ওঠেছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে। আর এ অভিযোগে শুক্রবার (১৭ মার্চ) তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে নেদারল্যান্ডের হেগভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। তবে আইসিসির এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে মূল্যহীন হিসেবে অভিহিত করেছে রাশিয়া।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘রাশিয়া রোম সংবিধির আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কোনো সদস্য নয় এবং এর নির্দেশ মানার জন্য বাধ্য নয়। রাশিয়া এ আদালতকে কোনো সহযোগিতা করে না। আন্তর্জাতিক আদালত থেকে আসা ঠাটঠমক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আইনগতভাবে আমাদের কাছে ভিত্তিহীন।’

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কার্যক্রম কিভাবে চলে?

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত অবস্থিত নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে। এটি ১৯৯৮ সালে রোম সংবিধি নামক একটি চুক্তির মাধ্যমে তৈরি হয়। এ আদালত স্বাধীনভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে।

বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য। আর সদস্য দেশগুলোর যে কোনো ব্যক্তির বিচার করার এখতিয়ার আছে এটির। তবে এ আদালতে বিচার করা হয় ব্যক্তির, কোনো দেশের নয়। এছাড়া যেসব ব্যক্তি অপরাধের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি জড়িত তাদের ওপরই বেশি নজর রাখা হয়।

তবে বড় বিষয় হলো— রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেন কোনো দেশই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য নয়। তবে অতীতে এ আদালতের দেওয়া রায় মেনে নিয়েছিল ইউক্রেন।

এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কারও অনুপস্থিতিতে বিচার করে না। ফলে পুতিনকে যদি বিচারের মুখোমুখি করতে হয়— তাহলে তাকে রাশিয়াকেই আদালতে সোপর্দ করতে হবে অথবা অন্য কোনো দেশে পুতিনকে আটক করে আদালতের কাছে তুলে দিতে হবে।

আইসিসি সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে যেতে পুতিন ভয় পাবেন?

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে যেতে এখন পুতিন ভয় পাবেন কিনা? এমন প্রশ্ন করা হয় রুশ প্রেসিডেন্ট দপ্তরের মুখপাত্র দিমিত্রো পেসকোভের কাছে। এর জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আমরা আইসিসির সদস্য নয়। রাশিয়ার কাছে এটি ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে এর বেশি কিছু বলার নেই আমার।’

শেয়ার করুন