নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনে পাঁচ মাসে ২০ হাজার রুশ সেনা নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ মে ২০২৩ | ০৫:১০ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০২ মে ২০২৩ | ০৫:১২ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
ইউক্রেনে পাঁচ মাসে ২০ হাজার রুশ সেনা নিহত

ইউক্রেনে পাঁচ মাসে ২০ হাজার রুশ সেনা নিহত । ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের বাখমুত শহরে গত পাঁচ মাসে দুই পক্ষের লড়াইয়ে ২০ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ৮০ হাজার সেনা আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের অনুমান থেকে এ তথ্য জানা গেছে। খবর বিবিসির।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি সোমবার (১ মে) জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের সরবরাহ করা তথ্যের ভিত্তিতে রুশ সেনাদের নিহত হওয়ার এ আনুমানিক সংখ্যা জানানো হয়েছে। তবে গোয়েন্দারা কীভাবে এ তথ্য সংগ্রহ করেছে সে বিষয়ে তিনি কোনো তথ্য দেননি।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, নিহতদের অর্ধেক সেনাই রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের সদস্য। উল্লেখ্য, ওয়াগনারের সেনাদের অধিকাংশই জেল খাটা আসামী।সাংবাদিকদের কিবরি বলেন, বাখমুত দিয়ে দনবাসে রুশদের ব্যাপক হামলা প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। রাশিয়া প্রকৃত কৌশলগত এবং গুরুত্বপূর্ণ কোনো ভূমি দখল করতে পারেনি।

তিনি বলেন, আমাদের ধারণা বাখমুতে রাশিয়া লক্ষাধিক হতাহতের মুখে পড়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন। গত বছরের ডিসেম্বর মাস শুরুর পর থেকে এই হিসাব করা হয়েছে। কিবরি বলেন, মূল কথা হলো রাশিয়ার আক্রমণাত্মক প্রচেষ্টা কয়েক মাস লড়াই এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর তাদের কাছে পাল্টা আঘাত হিসেবে ধরা দিয়েছে।

তিনি জানান, বাখমুতে ইউক্রেনের কি পরিমাণ হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তিনি জানাবেন না। কারণ এখানে তারা ভুক্তভোগী, রাশিয়া আক্রমণকারী।

বিবিসি স্বতন্ত্রভাবে কিবরির দেয়া হতাহতের সংখ্যা যাচাই করতে পারেনি। আর মস্কোও এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। বিবিসি বলেছে, এই সংখ্যা যদি নির্ভুল হয় তবে রুশ হতাহতের সংখ্যা যুদ্ধ শুরুর আগে বাখমুত শহরের মোট জনসংখ্যা ৭০ হাজারের বেশি। গত বছর থেকে বাখমুতের দখল নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া। এতে তাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে।

এদিকে যুদ্ধ শুরুর পর বাখমুতের অধিকাংশ বাসিন্দাই শহরটি ছেড়ে পালিয়েছেন। অল্প সংখ্যক বেসামরিক লোক ছোট এই শহরটিতে এখন বাস করছেন। তবে ছোট এই শহরটির জন্য লড়াই দুই পক্ষের কাছেই বড় ধরনের প্রতীকী গুরুত্ব রয়েছে।

ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা এই শহরটির লড়াইকে যতটা সম্ভব রুশ সেনা হত্যা এবং তাদের মজুদ খালি করার সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করছেন। যদিও শহরটির ছোট একটি অংশই কেবল এখন ইউক্রেনের দখলে আছে। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল

সুইটি/পরিচয়

শেয়ার করুন