নিউইয়র্ক     বৃহস্পতিবার, ১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ কমাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র–যুক্তরাজ্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২২ | ১২:৫৯ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২২ | ১২:৫৯ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ কমাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র–যুক্তরাজ্য

ইউক্রেনের দুই নিকট মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক পট খুব দ্রুতই বদলে যাচ্ছে। বিগত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করা যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন ঋষি সুনাক। আর অল্পদিনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে মধ্যবর্তী নির্বাচন। দুই দেশের রাজনীতিতে এই পরিবর্তন ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের হার অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এশিয়া টাইমসের এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের অস্ত্রের সবচেয়ে বড় দুই জোগানদাতা পিছু হটতে পারেন। এবং যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য পিছু হটলে তা ইউক্রেনের জন্য খাঁড়ার ওপর মরার ঘা হিসেবে আবির্ভূত হবে। পর্যাপ্ত অস্ত্র সরবরাহ বজায় না থাকলে ইউক্রেন সম্প্রতি যুদ্ধক্ষেত্রে যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তা ধরে রাখা কঠিন হতে পারে।

এশিয়া টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক পেশাগত দিক থেকে মূলত অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা মানুষ। ভূরাজনৈতিক দিকে তাঁর নজর তুলনামূলক কম। এমনকি নজর থাকলেও দেশটির বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ভূরাজনৈতিক স্বার্থে ব্যয় বাড়ানো কতটা সমর্থন করবেন তিনি তাই দেখার বিষয়। তবে তিনি এরই মধ্যে সরকারি ব্যয় কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন। আর সরকারি ব্যয় কামানোর মানে হলো বিদেশে ব্যয়ও অনেকটা সংকোচন করতে হবে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সামনে মধ্যবর্তী নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ। এশিয়া টাইমসের নিবন্ধে বলা হয়েছে—আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে বাইডেন এবং তাঁর দল ডেমোক্রেটিক পার্টি মার্কিন পার্লামেন্টের উভয় কক্ষেরই নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে। সে ক্ষেত্রে কংগ্রেস এবং সিনেটে বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টির প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। এবং রিপাবলিকানরা এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়ে বসেছে—তাঁরা ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ কমাবে।

যদি ঋষি সুনাকের যুক্তরাজ্য নিজদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মনোনিবেশ বেশি করে এবং বাইডেন মধ্যবর্তী নির্বাচনে কংগ্রেস এবং সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় তবে তা ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহে অনেকটাই রাশ টানবে। ফলে যুদ্ধক্ষেত্রেও ইউক্রেনকে বেশ ভোগান্তি এবং ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে। অবশ্য ঋষি সুনাক ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোন আলাপে ইউক্রেনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

শেয়ার করুন