নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আকস্মিক সফরে নেদারল্যান্ডসে জেলেনস্কি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৩ | ০২:৩৮ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৪ মে ২০২৩ | ০২:৩৯ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
আকস্মিক সফরে নেদারল্যান্ডসে জেলেনস্কি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (ফাইল ছবি)

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আকস্মিক সফরে নেদারল্যান্ডসে পৌঁছেছেন বলে স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে। অঘোষিত এই সফরে তিনি ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের পাশাপাশি দেশটির আইনপ্রণেতাদের সাথে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতে নর্ডিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পরে বুধবার গভীর রাতে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আমস্টারডামের শিফোল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন বলে ডাচ বার্তাসংস্থা এএনপি জানিয়েছে। ইউক্রেনীয় এই প্রেসিডেন্টের নেদারল্যান্ডসে এটিই প্রথম সফর।

আল জাজিরা বলছে, এএনপি একটি বিমানের অন্ধকার ছবিও প্রকাশ করেছে। বার্তাসংস্থাটি দাবি করেছে, ডাচ সরকারের এই বিমানটি সম্ভবত ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টকে বহন করেছে। নেদারল্যান্ডস সফরে জেলেনস্কি হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পরিদর্শন করবেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা।

এর আগে ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গত মার্চ মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। পুতিনের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ, তিনি বেআইনিভাবে ইউক্রেনের শিশুদের রাশিয়াতে সরিয়ে নিয়েছেন।

আদালত বলছে, এই অপরাধ গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর থেকেই ঘটে চলেছে। একই অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের শিশু অধিকার বিষয়ক কমিশনার মারিয়া এলভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধেও।

অবশ্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের হাতে বিচারিক ক্ষমতা থাকলেও কোনও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা নেই। আইসিসি যা করতে পারে তা হলো, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিভিন্ন দেশের সহায়তায় গ্রেপ্তার করা এবং গ্রেপ্তারের পরে তাকে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে বিচারের জন্য হাজির করা।

এছাড়া আইসিসি তার বিচারিক ক্ষমতাও শুধু সেসব দেশে প্রয়োগ করতে পারে, যে দেশগুলো এই আদালত গঠন করতে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। চুক্তিটি রোম সংবিধি নামে পরিচিত। রাশিয়া এই সংবিধিতে স্বাক্ষর করেনি। তাই পুতিন বা মারিয়া এলভোভা-বেলোভাকে আপাতত এই আদালতের হাতে সমর্পণের কোনও সুযোগ নেই।

মূলত রাশিয়া আইসিসির সদস্য নয় এবং এই কারণে পরাশক্তি এই দেশটি এই আদালতের এখতিয়ারকেও অস্বীকার করে থাকে। এছাড়া ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন চালালেও দেশটিতে কোনও ধরনের নৃশংসতায় যুক্ত থাকার কথা বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে মস্কো।

পাবলিক ব্রডকাস্টার এনওএস এর তথ্য অনুসারে, ‘ন্যায়বিচার ছাড়া ইউক্রেনের শান্তি নেই’ শিরোনামে জেলেনস্কি হেগে একটি বক্তৃতা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে এএনপি জানিয়েছে, ডাচ এমপিদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী রুটের সঙ্গে জেলেনস্কির আলোচনার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। তবে নিজের দেশ যুদ্ধের কবলে থাকা সত্ত্বেও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি পূর্ণ মাত্রার রুশ আক্রমণের পর থেকে লন্ডন, প্যারিস এবং ওয়াশিংটন, ডিসি-সহ বেশ কয়েকটি বিদেশি রাজধানীতে অঘোষিত সফর করেছেন। সূত্র : ঢাকা পোষ্ট

সুইটি/পরিচয়

শেয়ার করুন