নিউইয়র্ক     বৃহস্পতিবার, ১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অমর্ত্য সেনকে হেনস্তার প্রতিবাদ বিশিষ্টজনদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৩ | ০৩:০৭ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১২ জুন ২০২৩ | ০৩:০৭ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
অমর্ত্য সেনকে হেনস্তার প্রতিবাদ বিশিষ্টজনদের

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে শান্তিনিকেতনের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়ার পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন বিশ্বের প্রায় তিন শ বিশিষ্ট ব্যক্তি। এই অর্থনীতিবিদকে হেনস্তার প্রতিবাদ জানিয়ে এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কার্যক্রমের বিরোধিতা করে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা।

নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ জর্জ আর্থার আকেরলফসহ মোট ৩০২ জন অধ্যাপক, শিক্ষাবিদ এবং বিশ্বের বিখ্যাত কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যাপকরা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। চিঠিতে উপাচার্যের কার্যকলাপকে ‘অনৈতিক’ উল্লেখ করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি জানানো হয়েছে।

উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে অমর্ত্য সেনের বিবাদ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের বাড়ি ‘প্রতীচী’তে উচ্ছেদ বিজ্ঞপ্তি লাগানো হয়েছে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা এই উচ্ছেদ বিজ্ঞপ্তিটি লাগিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে ‘প্রতীচী’র জমিসংক্রান্ত মামলা আদালতে বিচারাধীন।

রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে বিশিষ্টজনরা জানিয়েছেন, উপাচার্য ‘রাজনৈতিক প্রভু’কে তোষামোদ করে চলেন। সেই কারণেই অমর্ত্য সেনকে হেনস্তা করা হচ্ছে। ভারত সরকারের সঙ্গে অমর্ত্য সেনের মতাদর্শগত পার্থক্য রয়েছে। তাই ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারকে সন্তুষ্ট করার জন্য অমর্ত্য সেনের বিরোধিতা করছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।

অমর্ত্য সেনের পক্ষে রাষ্ট্রপতিকে লেখা এই চিঠিতে নোবেলজয়ী জর্জ আর্থার আকেরলফ, যুক্তরাজ্যের আলস্টার ইউনিভার্সিটি বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইউনিভার্সিটি, আলাবামা ইউনিভার্সিটি, ভারতের জওয়াহেরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যাপকরা স্বাক্ষর করেছেন।

এ ছাড়া রাজ্যসভার সংসদ সদস্য জহর সরকার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুরসহ স্থানীয় ব্যক্তিত্ব ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরাও স্বাক্ষর করেছেন। সিউড়ি আদালতে অমর্ত্য সেনের জমিসংক্রান্ত মামলার শুনানি আগামীকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি জানানো হলো। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

শেয়ার করুন