নিউইয়র্ক     সোমবার, ১৭ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৩রা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১০১ বছর বয়সেও চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৪ | ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৫ মে ২০২৪ | ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
১০১ বছর বয়সেও চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি

হাওয়ার্ড টাকারের বয়স ১০১। আগামী জুলাইয়ে ১০২ বছরে পা দেবেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে পুরুষের গড় আয়ু ৭৩ বছর। সেখানে দীর্ঘ ৭৭ বছর ধরে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন হাওয়ার্ড।

হাওয়ার্ড একজন নিউরোলজিস্ট। ১৯৪৭ সাল থেকে তিনি চিকিৎসাসেবা পেশায় নিয়োজিত; পাশাপাশি তিনি চিকিৎসাবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের পড়ান। ২০২১ সালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস হাওয়ার্ডকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক প্র্যাকটিসিং চিকিৎসকের খেতাব দেয়। হাওয়ার্ডের জন্ম ১৯২২ সালের ১০ জুলাই, যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যে।

আমেরিকানদের মধ্যে অবসর গ্রহণ এড়িয়ে কাজ করার ক্রমবর্ধমান একটি প্রবণতার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হাওয়ার্ড।

তালিকায় আরও দুজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আছেন। তাঁরা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গবেষণায় দেখা গেছে, মস্তিষ্ক উদ্দীপিত রাখার মাধ্যমে বার্ধক্যজনিত অনেক জ্ঞানীয় প্রতিবন্ধকতা প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

হাওয়ার্ড বলেন, তিনি কাজ করার মাধ্যমে তাঁর মস্তিষ্ককে উদ্দীপিত রাখেন। যাঁরা ইতিমধ্যে অবসরে গেছেন বা অবসর নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের জন্য মানসিকভাবে উদ্দীপনামূলক কাজকর্ম উপযুক্ত বিকল্প হতে পারে। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস, অবসর হলো দীর্ঘায়ুর শত্রু।

হাওয়ার্ডের ভাষ্য, যেসব মানুষ দীর্ঘদিন বাঁচেন, তাঁদের দিকে তাকালে দেখা যাবে, তাঁরা ঠিক তাঁর মতো ৮০, ৯০, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ১০০ বছর বয়সের পরও কাজ করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের শিখিয়ে সময় কাটান। তিনি স্নায়ুবিদ্যার সাম্প্রতিক প্রবণতাগুলোর সঙ্গে হালনাগাদ থাকার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেন।

হাওয়ার্ড বলেছেন, বছরের পর বছর ধরে পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সঙ্গে তাঁকে মানিয়ে নিতে হয়েছে। তাঁর বয়সী কারও জন্য বিষয়টি খুব একটা সহজ কাজ ছিল না। তিনি এমন অনেক চিকিৎসককে চেনেন, যাঁরা স্রেফ কম্পিউটার চালানো শিখবেন না বলে অবসরে চলে গেছেন। কিন্তু তিনি মনে করেন, বয়সকালেও অধ্যবসায়সহ কোনো কিছু শেখার আকাঙ্ক্ষা থাকা অত্যন্ত দরকারি।

চিকিৎসাবিদ্যা চর্চায় প্রযুক্তির ব্যাপক প্রভাবের সময় তিনি শিক্ষার্থীদের মানুষের কথা শুনতে বলেন। রোগের পর্যাপ্ত ইতিহাস সংগ্রহ করতে বলেন। রোগীকে প্রশ্ন করার সময় তাঁর দিকে তাকিয়ে কথা বলতে বলেন।

হাওয়ার্ড বলেন, মানুষের মধ্যে গতি থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। আর মাত্র দুই মাসেরও কম সময় পর তাঁর ১০২তম জন্মবার্ষিকী। সকালে তাঁর ঘুম পায়। তারপরও তিনি প্রতিদিন সকাল সাড়ে আটটায় ঘুম থেকে উঠে পড়েন। এরপর সারা দিনের কাজের জন্য প্রস্তুতি নেন।

শেয়ার করুন