ট্রাম্প প্রশাসনের সময়ই তিনটি সন্দেহভাজন চীনা গুপ্তচর বেলুন যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশ করে। জো বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পরই বেলুনগুলো শনাক্ত করা হয়। বাইডেন প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা সিএনএনকে এ কথা জানিয়েছেন। কীভাবে বা কখন এই বেলুনগুলো আবিষ্কৃত হয়েছে তা ওই কর্মকর্তা বলেননি। ওই কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের গোয়েন্দারা চীনা নজরদারি কর্মসূচি সম্পর্কে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রধান কর্মকর্তাদের ব্রিফিং দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। বাইডেন প্রশাসনের বিশ্বাস, গত কয়েক বছর ধরে পাঁচটি মহাদেশে এই বেলুন মোতায়েন করা হয়েছে।
বাইডেন প্রশাসন গত সপ্তাহে জানায়, একটি সন্দেহভাজন চীনা গুপ্তচর বেলুন মন্টানায় ঘোরাফেরা করছে। পেন্টাগন বলেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের সময় থেকে এ ধরনের বেলুন যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে ঘোরাফেরা করছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার গত শুক্রবার সিএনএনকে বলেছেন, তিনি ওই বিবৃতিতে ‘বিস্মিত’ হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই মনে করতে পারছি না যে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনা নজরদারি বেলুন রয়েছে-এমন কথা কেউ আমার অফিসে এসে জানিয়েছেন।’
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও চলতি সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বলেছেন, তার প্রশাসনের সময় চীনা বেলুনগুলো যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হয় এমন প্রতিবেদনগুলো ‘ভুয়া’। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনও ট্রাম্পের শাসনামলে বেলুনগুলো যুক্তরাষ্ট্রে নজরদারি করেছিল এই দাবিকে অস্বীকার করে বলেছেন, ‘বাইডেন প্রশাসন কি একটি টাইম মেশিন আবিষ্কার করেছিল? এই নতুন সনাক্তকরণের ভিত্তি কী?’ তবে তিনি যোগ করেছেন যে তিনি বর্তমান প্রশাসনের কাছ থেকে ট্রাম্প যুগের বেলুন আবিষ্কারের বিষয়ে একটি ব্রিফিং নেবেন যদি এটি তাকে দেওয়া হয়।
বোল্টন সোমবার ‘সিএনএন দিস মর্নিং’-এ বলেছেন, ‘যদি এটি সত্য হয় যে, চীনারা আগেও এই চেষ্টা করেছিল, তবে আমাদের সতর্ক করা উচিত ছিল। বেলুনটি যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌম ভূখণ্ডে প্রবেশ করার আগে আমাদের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল।’ বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তা এই ঘটনাগুলো কীভাবে বা কখন আবিষ্কৃত হয়েছে তা জানাননি।