নিউইয়র্ক     বৃহস্পতিবার, ২৩শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে বিশেষ কোনো দলকে সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র – পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখ্য উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৩ | ০১:২৪ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৬ মে ২০২৩ | ০১:২৪ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
বাংলাদেশে বিশেষ কোনো দলকে সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র – পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখ্য উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল

যুক্তরাষ্ট্র কোনো দেশেই বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকে সমর্থন করে না। তারা বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। গত মঙ্গলবার (২ মে) ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখ্য উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা এবং বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক দল বা পক্ষের হয়ে কাজ করার অভিযোগ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে প্যাটেল বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে আমার কিছু বলার নেই।’

প্যাটেল বলেন, ‘আমি বলতে চাই, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বা আঞ্চলিক বিষয় কিংবা অগ্রাধিকারে প্রভাব পড়তে পারে, এমন অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে সৎভাবে আলোচনা করাকে যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখে না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যেমন বলেছি, বাংলাদেশ এবং এর পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে আরেক প্রার্থী বা একটি দলের বিরুদ্ধে আরেকটি দলের অবস্থানকে সমর্থন করি না।’

যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের বিরুদ্ধে সমালোচনা প্রসঙ্গে প্যাটেল বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে আমাদের সব দূতাবাসের মতো ঢাকার দূতাবাসও বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দূত হিসেবে কাজ করে। আমি যা বলব, আপনি গতকাল (১ মে) আমাকে এ কথা বলতে শুনেছেন যে, বাংলাদেশ আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। এটি এমন একটি দেশ যার সঙ্গে আমরা আমাদের সম্পর্ক গভীর করতে আগ্রহী।’

বেদান্ত প্যাটেল আরও বলেন, ‘২০২২ সালে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, এখানে এমন অনেক বিষয় রয়েছে, যাতে আমরা আমাদের সহযোগিতাকে আরও গভীর করতে পারি। এটি শুধু বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নয়, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গেও। এর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক সম্পর্কিত নিরাপত্তার মতো বিষয় রয়েছে।’

এসএ/এমএএস/এমউএ/টিএ/পরিচয়

শেয়ার করুন