নিউইয়র্ক     শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিলাডেলফিয়ায় বাংলাদেশি আরিফুল হক জেমসের দুর্বৃত্তেদের আক্রমনে করুন মৃত্যু

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৩ | ১১:৩৬ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১৮ মে ২০২৩ | ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
ফিলাডেলফিয়ায় বাংলাদেশি আরিফুল হক জেমসের দুর্বৃত্তেদের আক্রমনে করুন মৃত্যু

আরিফুল হক জেমস, একজন বাংলাদেশী যার বয়স ছিল মাত্র ৩১ বছর, দুঃখজনকভাবে গত ৮ই মে, ২০২৩ দুর্বৃত্তেদের আঘাতে নিহত হন। সাবেক বিটিএসপি সভাপতি তোজাম্মেল হক তোজার বড় ছেলে জেমসকে ফিলাডেলফিয়া পুলিশ নর্থফিলি থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় গত শুক্রবার ৫ই মে সকালে টেম্পল হাসপাতালে ভর্তি করে রেখে যায় এবং জেমসের পরিবারকে ফোন করে জানানো হয়েছিলো পরের দিন ৬ই মে সকাল ১১টায়। সেই সময় জেমসের শারিরীক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরবর্তিতে ৮ই মে, ২০২৩ জেমসের পরিবারকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান যে, প্রচুর রক্তক্ষরণ ছাড়াও মাথায় এবং বুকে গুরুতর আঘাতের কারণে জেমসকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ।জেমসকে তখন তারা মৃত ঘোষনা করেন।

ফিলাডেলফিয়া শহরের আপার ডার্বির বাসিন্দা জেমসের বাবার বাড়ি ভাতকুড়ি গ্রামে, তিলকপুর, থানা আক্কেলপুর, জেলা জয়পুরহাট, বাংলাদেশে। পরিবারে, জেমসের ছোট ভাই হাই স্কুলে এবং তার একমাত্র বোনের বিয়ে হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। জেমস তার বাবার পরিবারকে সহযোগিতা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে তার বাবার গ্যারেজে কাজ করে আসছিলেন।

১২ই মে শুক্রবার বাদ জুমার পর আপার ডারবির আল মদিনা মসজিদে জেমসের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় হাজারের ও অধিক বাংলাদেশীসহ অন্য দেশের মানুষও জানাজা নামাজে অংশগ্রহন করেন। জেমসের জানাজার কথা শুনে বৃহত্তর ফিলাডেলফিয়ার সবগুলি সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় সর্বমোট ২৭টি সংগঠনের কমকর্তাবৃন্দ, ফিলাডেলফিয়ায় বসবাসরত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, মেইন ষ্টীম রাজনৈতিক নেত্ববৃন্দ বিশেষ করে আপারডাবী টাওনশীপ ড্রিস্ট্রিক ৬এর কাউন্সিলম্যান, মিলর্বন বরোর মেয়র এবং ৫জন কাউন্সিলম্যান, ফিলাডেলফিয়া ও আপারডাবী হতে নির্বাচিত ৩২ জন কমিউনিটি কমিটি মেম্বার এবং আগামী ১৬ই মে’র নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী প্রার্থীগনসহ সাধারন মানুষ জানাজায় অংশগ্রহন করার জন্য আপারডাবীর মদিনা মসজিদে ছুটে আসেন এবং জানাজায় অংশগ্রহন করেন। জানাজার পর জেমসকে দাফন করা হয় আপারডাবী মসজিদের ঠিক পাশেই ফ্রেন্ডস কবরস্হানে।

জানাজায় যারা অংশগ্রহন করেছিলেন উপস্হিত সকলে এই জঘন্য হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্তসহ বিচারের দাবী জানান। উপস্হিত সকলেই উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেন ফিলাডেলফিয়ার আইন শৃঙ্খলার অবনতির জন্য। গত কয়েক বছরে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে প্রায় ৮৫% এর ও বেশী। উপস্হিত সকলেই জেমসের ন্যায়বিচারসহ বৃহত্তর ফিলাডেলফিয়ায় আইন শৃঙ্খলার উন্নতির জোড়াল দাবী জানান।

 

জানাজা এবং দাফনের পর পরই জেমসের পিতা তোজ্জাম্মেল হক তোজা জানান যে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং Ditactive প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছেন এটি ছিলো হত্যাকান্ড। কয়েক জন দুর্বৃত্তদ্বারা প্রচন্ড আঘাতের কারনে তার মৃত্যু হয়। পুলিস তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন যা আপনাদেরকে পরবর্তিতে জানানো হবে। এছাড়া তিনি উপস্হিত সকলের নিকট আকুল আবেদন জানান যে, আপনারা আর চুপ না থেকে জেমস হ্ত্যাকান্ডসহ সকল আমেরিকানদের হত্যাকান্ডের বিচারের জন্য জোডদার আওয়াজ তুলুন যেন আমার মতো আর কারো সন্তানকে এভাবে হারাতে না হয়। এই বলেই তিনি কেঁদে ফেলেন। সর্বশেষ তিনি সবাইকে ধন্যবাদ প্রদান করেন যারা উনাকে এই দুংসময় সহর্মমিতা জানিয়েছেন, জানাজা অংশগ্রহন এবং প্রতিবাদে সমর্থন জানিৎেছেন তাদের সবাইকে।

সুমি/পরিচয়

শেয়ার করুন