নিউইয়র্ক     রবিবার, ১৬ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২রা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকাবাসীর আয়োজনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াস আহমেদ সংবর্ধিত

পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে, এখন একটিই দাবী আ. লীগ সরকারের পদত্যাগ -ঢাকা থেকে ভার্চুয়্যল বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৩ | ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৪ মে ২০২৩ | ০৪:০৫ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে, এখন একটিই দাবী আ. লীগ সরকারের পদত্যাগ -ঢাকা থেকে ভার্চুয়্যল বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সহ কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কর্মকান্ডের প্রশংসা করে বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনে আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় এখন আমাদের একটিই দাবী আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ। ড. খন্দকার মোশাররফ শেখ হাসিনা সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত ঐক্যদ্ধ হয়ে কাজ করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

অপরদিকে গিয়াস আহমেদ সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটি দাবীর পাশাপাশি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দও তাদের বক্তব্যে জিল্লু-গিয়াস ও মিল্টন ভূইয়ার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটি গঠনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। বক্তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিন বিএনপি নেতাকে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য মনোনীত করায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কতজ্ঞতা প্রকাাশ করেন।

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ও সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস আহমেদ কেন্দ্রীয় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মনোনীত হওয়ায় ঢাকা জেলাবাসী’র পক্ষ থেকে তাকে প্রদত্ত সংবর্ধনা সভায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সহ বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন। গত ৮ মে সোমবার রাতে নিউইয়র্কের উডসাইডের একটি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সর্বস্তরের দলীয় নেতা-কর্মী ও প্রবাসীরা গিয়াস আহমেদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং ঢাকাবাসীর পক্ষ থেকে সম্মাণনা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালী যোগ দেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এছাড়াও সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালী যোগ দেন বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক চীফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক ও কেন্দ্রীয় বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব ও ডাকসু’র সাবেক জিএস খায়রুল কবীর খোকন। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক বেবী নাজনীন, কেন্দ্রীয় জাসাস-এর আহ্বায়ক হেলাল খান, কেন্দ্রীয় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদ্য মনোনীত সদস্য জিল্লুর রহমান জিল্লু ও মিজানুর রহমান ভূইয়া মিল্টন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম ভূইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আজহারুল হক মিলন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মঞ্চে আরো উপবিষ্ট ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি ও ট্রাষ্টি বোর্ড চেয়ারম্যান এম আজীজ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সহ সভাপতি মনজুর আহমেদ চৌধুরী, এডভোকেট জামাল আহমেদ জনি, এমদাদুল হক কামাল, মোঃ আনোয়ার হোসেন, বাবুল চৌধুরী, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির আহবায়ক মাওলানা অলিউল্লাহ মোঃ আতিকুর রহমান, নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপি’র (দক্ষিণ) আহবায়ক হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, নিউইয়ক মহানগর বিএনপি (উত্তর) সদস্য সচিব ফয়েজ চৌধুরী প্রমুখ।

সাবেক ছাত্র নেতা আব্দুল বাসেতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও যুবদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও বিশেষ দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন, মওলানা ড. আসরারুল হক। এরপর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত এবং বিএনপির দলীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, সংবর্ধনা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব সোহরাব হোসেন, প্রধান সমন্বয়কারী এজিএম জাহাঙ্গীর হুসাইন এবং যুগ্ম সদস্য সচিব গোলাম এন হায়দার মুকুট ও জাহাঙ্গীর আলম জয়। সভায় অতিথিবৃন্দ ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবু সাঈদ আহমেদ, সাবেক সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপি’র উপদেষ্টা এম এ বাতেন, যুক্তরাষ্ট্র জাসাস-এর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর সোহরাওয়ার্দী, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাজারুল ইসলাম জনি, ওয়াশিংটন ডিসিতে আহত রিপন মিয়া প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে আনোয়ারুল ইসলাম, কাজী আজম ও ফিরোজ আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাকসুদ চোধুরী, বিএনপি নেতা মোশাররফ সবুজ, বদরুল হক আজাদ, সিরাজুল ইসলাম, ভিপি জহির মোল্লা, লং আইল্যান্ড বিএনপি’র সভাপতি মিয়া আলিম পাখী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ড. মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই গণতন্ত্র হত্যা করে। এই দলের কাছ থেকে কেউ গণতন্ত্র আশা করতে পারে না। বলেন, সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির নামে আওয়ামী লীগ ’৭৩-৭৫ এ লুটপাট করেছে। আবার ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগের নেতারা দেশের অর্থ লুট করে কানাডায় ‘বেগমপাড়া’ বানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের লুটেরা আমেরিকায় বাড়ী বানাচ্ছেন। তিনি দেশের চলমান পরিস্থিতে সরকার পতনের জন্য বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ ও প্রবাসের সকল জাতীয়তাবাদী, দেশপ্রেমিক ও গণতন্ত্রমনা সকল ব্যক্তি ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন, দেশের জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে বেগম খালেদা জিয়া আর তারেক রহমান অপরিহার্য ব্যক্তি, আমরা অপরিহার্য নই। তারা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র তিন নেতাকে মূল্যায়ন করেছেন। এখন আপনাদের দায়িত্ব কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রবাসে আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে তোলা। পাশাপাশি তিনি সরকার বিরোধী আন্দোলনে প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ করা এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র কমিটি গঠনে গিয়াস-জিল্লু-মিল্টন ভূইয়ার ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। খায়রুল কবীর খোকন বলেন, সরকারের হুমকী-ধুমকী-মামলা উপেক্ষা করে দেশকে রক্ষায় ‘ফ্যাসিস্ট-স্বৈরাচার’ শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে হবে। তিনি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র তিন নেতাকে মূল্যায়ন করার জন্য দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ সফল করায় প্রবাসী নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানান।

গিয়াস আহমেদ তার বক্তব্যে তাকে সংবর্ধিত করায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আপনাদের ঋণ শোধ করার নয়। তিনি বলেন, দেশ-জাতি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশের দানবীয় কর্তৃত্ববাদী সরকারকে হঠাতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন প্রয়োজন। শেখ হাসিনার সরকারকে হঠিয়ে জনগণের সরকার কায়েম করতে হবে। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্বে জাতীয় নির্বাচন দাবী করেন। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের সম্বর্ধিত অতিথি গিয়াস আহমেদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর সময় হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে গিয়াস আহমেদ সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এছাড়াও মঞ্চে আসন সীমিত থাকায় সেখানে স্থান না পাওয়ায় অনেকের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করে। নৈশভোজের মাধ্যমে মধ্যরাতে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

এদিকে ঢাকাবাসীর পক্ষে প্রেরীত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অতিথিবৃন্দ ছাড়াও গিয়াস আহমেদকে অভিনন্দন জানিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান লায়ন্স ক্লাবের ডেপুটি গভর্নর আসিফ বারী টুটুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মশিউর রহমান, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার ও সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা ফারুক চৌধুরী, ভিপি জসিম, রাফেল তালুকদার, সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, পারভেজ সাজ্জাদ, খলকুর রহমান, মিজানুর রহমান, ফারুক হোসেন মজুমদার, আমিনুল ইসলাম স্বপন, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, কাউসার আহমেদ, দেওয়ান কাউসার, শফিকুর রহমান দুলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুর রহমান হারুন, রিয়াজ রহমান, ঢাকা জাতীয়তাবাদী ফোরামের নেতা মোহাম্মদ মহসিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সরুুজজামান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এমএ খালেক, যবুদল নেতা মিজানুর রহমান মিজান, সারোয়ার খান বাবু, আমানত হোসেন আমান, আরাফাত রহমান কোকো পরিষদের সভাপতি শাহাদত হোসেন রাজু, প্রফেসর রফিকুল ইসলাম, সাদি মিন্টু, মোহাম্মদ নাইম, বাদল মীর্জা, শাহবাজ, আলমগীর মৃধা, রিয়াজ মাহমদু, সৈয়দ আকিকরু রহমান ফারুক, শেখ শাহজাহান, আব্দলু বাতেন সরকার, সিরাজলু ইসলাম খান, আনিসুর রহমান আল আমিন সুমন, মোঃ রুহুল আমিন, ইঞ্জিনিয়ার মাইনুদ্দিন মিয়াজী, দেওয়ান সাত্তার, নাসির উদ্দিন শরীফ, ইঞ্জিনিয়ার তাজলু ইসলাম, রাইসলু ইসলাম প্রিন্স, হাসান মাহমদু, মীর সাব্বির, বদরুল ইসলাম বাদল, দুলাল রেহেদু, মোস্তফা কামাল মুকুল, এম, এ শোয়েব, এম, এ করিম, সাইফুল ইসলাম, আজাদ রহমান, শাহিনুর রহমান, আজীদুর রহমান লিপন প্রমুখ।

গিয়াস আহমেদের রাজনৈতিক জীবন

গিয়াস আহমেদ ঢাকার দোয়ার থানা থানা ছাত্রদলের সভাপতি, রমনা থানা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে দোহারে নিয়ে বিশাল জনসভা করাবার কারনে তৎকালীন সরকারী দলের লোকেরা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। তখন তিনি নিজ বাড়ীতে ঘুমাতে পারেন নি। ফলে উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ষ্টুডেনট ভিসা নিয়ে আগমন করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলেন এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও ছাত্রদল গঠনে ভূমিকা রাখেন। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি প্রতিষ্ঠার আগেই তার নেতৃত্বে ১৯৮৮ সালের মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদল গঠন করা হয় এবং তিনি প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হন। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি গঠনেও তিনি অন্যতম ভূমিকা পালন করেন। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রথম আহবায়ক কমিটির তিনি অন্যতম সদস্য ছিলেন। তার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদল একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি এবং ছাত্রদল ঐক্যবদ্ধভাবে হোয়াইট হাউজ, ক্যাপিটাল হিল এবং জাতিসংঘে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তিনি যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক দলেরও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, নিউ ইয়ক ষ্টেট বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১/১১ এর সময় বেগম খালেদা জিয়া তার নিজস্ব ক্ষমতাবলে গিয়াস আহমেদকে কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে নিয়োগ দেন। যা এখনো বাতিল করা হয়নি। সর্বশেষে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গিয়াস আহমেদকে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মনোনীত করেন।

গিয়াস আহমেদ শুধু বাংলাদেশী রাজনীতির সাথেই যুক্ত নন। তিনি আমেরিকার মুলধারার রাজনীতির সাথেও জরিত। তিনি ২০০২ সালে নিউইয়ক ষ্টেট সিনেটর হিসেবে নির্বাচন করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। ২০০৪ সালে তিনি নিউইয়ক ষ্টেট অওাসেম্বলীম্যান হিসেবেও নির্বাচন করেন। তিনি বাংলাদেশ কংগ্রেসনাল ককাস গঠনে অগ্রনী ভুমিকা পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসেবে কংগ্রেসম্যান জোসেফ ক্রাউলি এবং কংগ্রেসম্যান গ্রেগরী মিক্সের সাথে বাংলাদেশে গমন করে বাংলাদেশের পক্ষে জোরালো ভূমিকা পালন করেন। জাতিসংঘের অর্থায়নে চট্টগ্রামে এশিয়ান উইম্যান ইউনিভার্সিটি গঠনেও তিনি গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। খবর ইউএনএ’র।

এসএ/এমএএস/এমইউএ/টিএ/পরিচয়

শেয়ার করুন