নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্যাপিটল আক্রমণের মূল চক্রীর শাস্তি ১৮ বছর জেল

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৩ | ০১:১৯ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৮ মে ২০২৩ | ০১:১৯ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
ক্যাপিটল আক্রমণের মূল চক্রীর শাস্তি ১৮ বছর জেল

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) অ্যামেরিকার আদালত স্টুয়ার্ট রোহডসকে ১৮ বছরের হাজতবাসের সাজা শুনিয়েছে। অতি দক্ষিণপন্থি সংগঠনের প্রধান স্টুয়ার্ট রোহডসের নির্দেশেই ২০২১ সালের ৬ই জানুয়ারী অ্যামেরিকার ক্যাপিটল ভবনে আক্রমণ চালিয়েছিল দাঙ্গাকারীরা। পৃথক পৃথক মামলায় তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। তবে এই মামলার মূল চক্রী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন ৫৭ বছরের স্টুয়ার্ট রোহডস। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) তাকে ১৮ বছরের কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে আদালত।

মার্কিন ফেডারেল কোর্ট এদিন কী রায় দেয়, তা নিয়ে অনেকেরই উৎসাহ ছিল। তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আবেদন জানিয়েছিলেন সরকারি আইনজীবী। বস্তুত, তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী ধারা প্রয়োগের আবেদন জানানো হয়। সন্ত্রাসবাদী ধারা যুক্ত না করলেও তার কাজ যে সন্ত্রাসবাদের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়, তা মেনে নিয়েছেন ফেডারেল বিচারক। বিচারক অমিত মেহেতার কাছে ২৫ বছরের সাজা ঘোষণার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চরমতম সাজা ঘোষণা করেননি তিনি। ১৮ বছরের কারাবাস ঘোষণা করেছেন। এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বরে রোহডস দোষী প্রমাণিত হয়েছিল। এদিন তার সাজা ঘোষণা হলো।

কী ঘটেছিল : ২০২০ সালেরনির্বাচনে হারের পর নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ নেওয়ার কথা ছিল জানুয়ারি মাসে। তার ঠিক আগে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবন আক্রমণ করেন একদল ট্রাম্পভক্ত। ক্যাপিটল ভবনের ভিতরে ঢুকে কার্যত সবকিছু তছনছ করে দেন তারা। অভিযোগ, রোহডসের নির্দেশেই ওই দলটি ক্যাপিটল ভবনে আক্রমণ চালিয়েছিল। যদিও রোহডসের আইনজীবীর বক্তব্য, তার মক্কেল ক্য়াপিটল ভবনের ভিতরে ঢোকেননি। বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কাউকে ভিতরে ঢোকার নির্দেশও দেননি। বিচারক জানিয়েছেন, রোহডস অত্যন্ত স্মার্ট এক ব্যক্তি। তিনি যা বলেন, মানুষ তা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শোনে। আর সেটাই সবচেয়ে বড় ভয়ের কারণ। তার কথা শুনেই একদল মানুষ ক্যাপিটল আক্রমণ করে। ভবিষ্যতেও এমন ঘটনা ঘটার আশঙ্কা আছে। সে কারণেই চরম শাস্তি তার পাওয়া উচিত।

তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের চার্জ না লাগালেও বিচারক মুখে বলেছেন, রোহডস যা করেছেন, তা কোনো অংশেই সন্ত্রাসবাদের কম নয়। সন্ত্রাসবাদের চার্জ তার বিরুদ্ধে আনাই যায়। তবে সিডিশন বা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে। ডনাল্ড ট্রাম্প এই গোষ্ঠীটিকে উসকে দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ আছে। সেই অভিযোগ নিয়েও আদালতে শুনানি চলছে। বস্তুত, দেশকে বাঁচাতে এমনই কিছু করা উচিত বলে প্রথম ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এদিন আদালত কক্ষে আত্মপক্ষ সমর্থনের সময় রোহডসও বলেছেন, তিনি যা করেছেন, তা দেশকে বাঁচানোর স্বার্থে করেছেন। – রয়টার্স, এপি, এএফপি

সাথী/পরিচয়

শেয়ার করুন