বেশ কিছুদিন বিরতির পর আবার নিউইয়র্ক থেকে দীর্ঘদিন যাবত প্রকাশিত পত্রিকার সম্পাদকবৃন্দ ‘এডিটর্স কাউন্সিল’ এর সভায় বসেছিলেন। গত সোমবার, ১লা জুলাই জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন রেস্টুরেন্টের মিটিং রুমে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাপ্তাহিক বাঙালী সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান, সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা সম্পাদক আবু তাহের, সাপ্তাহিক জন্মভূমি সম্পাদক রতন তালুকদার, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ খান, সাপ্তাহিক আজকাল সম্পাদক শাহ নাওয়াজ এবং সাপ্তাহিক প্রবাস সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ। অসুস্থতার কারণে সাপ্তাহিক ঠিকানার সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি এম.এম. শাহীন সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। সাপ্তাহিক আজকাল কেনার পর এই প্রথম বৈঠকে যোগ দিলেন এর মালিক এবং সম্পাদক শাহ নাওয়াজ। অন্য সম্পাদকবৃন্দ তাকে এডিটর্স কাউন্সিলে স্বাগত জানান। আর শাহ নাওয়াজ সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, আমার অনেকগুলো প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা থাকা সত্ত্বেও আমি ‘আজকাল’ এর সম্পাদক হিসাবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি।
এডিটর্স কাউন্সিলের এই বৈঠকে সম্পাদকদের পক্ষ থেকে সম্প্রতি নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন সাপ্তাহিকীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলা হয়, প্রিন্ট পত্রিকার চাহিদা আছে বলেই অনেক পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে। প্রিন্ট পত্রিকাকে টিকে থাকার জন্য পত্রিকার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে পেশাদারি মনোভাব প্রদর্শনের আহবান জানানো হয়।
এদিনের বৈঠকের উদ্যোক্তা আবু তাহের জনাব শাহ নাওয়াজসহ সকল সম্পাদককে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই কম্যুনিটিকে সেবা দিয়ে আসছি। আমাদের সংবাদপত্রগুলোর কারণেই কম্যুনিটির এই উন্নতি সম্ভব হয়েছে।
কৌশিক আহমেদ বলেন, এথনিক মিডিয়ার উত্তরোত্তর এগিয়ে যাওয়া প্রমাণ করে আজ সিটি হলে মূলধারার সাংবাদিকদের পাশাপাশি এথনিক সংবাদপত্রগুলোর সাংবাদিকদেরও রুম-৯এ বসার সুযোগ দিয়েছেন মেয়র। এথনিক নিউজপেপারগুলোর দীর্ঘদিনের দাবির মুখে রুম-৯এ আসন পাওয়া নিশ্চয় গুরুত্ব বহন করে।
তিনি কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে বলেন, আমাদের প্রতিযোগিতা কেবল নিউইয়র্কের সংবাদপত্রগুলোর সাথে নয়, এখন অনলাইনের কারণে পৃথিবীর যে কোনো দেশের বাংলা সংবাদপত্রগুলোর সাথেই গুণগত বিষয়ে পরস্পরের প্রতিযোগিতা রয়েছে। পাঠকদের হাতে অনেক চয়েস আছে। সে কারণে আমাদের আরো পেশাদারি ভূমিকা পালন করতে হবে। পত্রিকায় ক্রমাগত মারাত্মক ভুল ছাপা হলে আমরা পাঠকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারাবো।
তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে পাঠকরা অনেক বেশি শিক্ষিত এবং সচেতন।
ডা. ওয়াজেদ খান বলেন, বিশ্বজুড়েই এখনো প্রিন্ট মিডিয়া অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে চলেছে। আমাদের সেই গুরুত্ব ধরে রাখতে হবে। তিনি নিউইয়র্ক সিটির বিজ্ঞাপন বিষয়েও কথা বলেন।
রতন তালুকদার বলেন, সকল সম্পাদককে এবং সংবাদকর্মীকে পরস্পরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। তিনি প্রিন্টিংএর খরচ বেড়ে যাওয়া এবং বিজ্ঞাপনের দাম কমে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার পথ খুঁজে বের করার অনুরোধ জানান সতীর্থ সম্পাদকদের।
মোহাম্মদ সাঈদ বলেন, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা পত্রিকাগুলোর পক্ষ থেকে কিছু করতে পারি কিনা, সে ব্যাপারে চিন্তা করা যেতে পােের।
নাজমুল আহসান এডিটর্স কাউন্সিলের পক্ষ থেকে দুই মাস পরপর কম্যুনিটি বিষয়ক সেমিনার আয়োজনের প্রস্তাব দেন। তাছাড়া কোনো পত্রিকার প্রকাশনার বয়স ৫ বছর পূর্ণ হলে, তাকে এডিটর্স কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্ত করারও প্রস্তাব দেন।
শাহ নাওয়াজ বলেন, আজ এখানে এডিটর্স কাউন্সিলের সভায় যোগ দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে। আমি ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশে ব্যবসা করলেও সংবাদপত্রের সাথে জড়িত ছিলাম না।
শাহ নাওয়াজ আরো বলেন, আমি আপনাদের সাথে এক হয়ে সম্পাদকদের মর্যাদা সমুন্নত রেখে সফলভাবে সকলে যাতে নিজ নিজ পত্রিকাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাবো।
সকল সম্পাদকই শাহ নাওয়াজকে স্বাগত জানিয়ে আগামী দিনের সাফল্য কামনা করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুসারে