নিউইয়র্ক     সোমবার, ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতিসংঘে ফলপ্রসূ অবদান রাখার বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪ | ০২:০৯ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪ | ০২:০৯ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
জাতিসংঘে ফলপ্রসূ অবদান রাখার বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে জাতিসংঘ পুলিশ প্রধানদের চতুর্থ সম্মেলনে জাতিসংঘ পুলিশের কার্যক্রমে ফলপ্রসূ অবদান রাখার বিষয়ে বাংলাদেশের অঙ্গীকার ও প্রস্তুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত “শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অভিনব কৌশল ও সম্ভাব্য সংঘাতের ক্ষেত্র” শীর্ষক সম্মেলনের প্রধান সেশনে প্রথম বক্তা হিসেবে বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

দুই দিনব্যাপী জাতিসংঘ পুলিশ প্রধানদের এ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কামরুল আহসান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে সম্মেলনে যোগ দেন।

বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রাসঙ্গিক ও নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক বিশেষায়িত পুলিশিংয়ের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম চলমান দেশসমূহের আইন ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংস্থাসমূহের দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিতে হবে।

শান্তিরক্ষা কার্যক্রম শেষে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের শান্তিরক্ষায় নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে মহিলা পুলিশ সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করতে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

সম্মেলন চলাকালে গাম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদৌলে সানিয়াং, জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল ফর পিস অপারেশন্স জ্যঁ পিয়েরে লাখোয়া, এবং আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল ফর অপারেশনাল সাপোর্ট অতুল খারে- এর সাথে পৃথক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন আসাদুজ্জামান খান কামা।

জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেলদের সঙ্গে বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি ও সক্ষমতার বিষয়টি তুলে ধরেন। এ সময় উভয় আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেলই শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের পেশাদারত্ব ও অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশ থেকে আরও শান্তিরক্ষী পাঠানোর অনুরোধ জানান।সূত্র প্রেস বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন