নিউইয়র্ক     বৃহস্পতিবার, ৪ঠা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২০শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাইডেন সরে দাঁড়ালে কপাল খুলবে কার?

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪ | ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪ | ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
বাইডেন সরে দাঁড়ালে কপাল খুলবে কার?

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম বিতর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনী বিতর্কের পর থেকে ৮২ বছর বয়সী জো বাইডেনের বয়স ও কর্মক্ষমতা নিয়ে জোরেসোরে প্রশ্ন উঠেছে। খোদ ডেমোক্র্যাট পার্টির মধ্যেই তার বিকল্পের খোঁজ চলছে বলে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। প্রার্থী বদলের সম্ভাবনা নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে চলছে জোর আলোচনা। এরমধ্যে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসসহ আরও চার রাজনীতিকের নাম প্রস্তাবও করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ৫ নভেম্বরের নির্বাচন সামনে রেখে অনুষ্ঠিত প্রথম টেলিভিশন বিতর্কে প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপরীতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অনেকটাই অসহায় মনে হয়েছে। স্মরণকালের তিক্ততম বিতর্কে নানা ইস্যুতে ট্রাম্পের সঙ্গে পেরে ওঠেননি বাইডেন। বিতর্কের ফলাফলে জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পুরো নির্বাচনী প্রচারণা জুড়ে বয়স নিয়ে বাইডেনকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি ট্রাম্প।

এই আগুনে ঘি ঢেলেছে শুক্রবার নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয়তে প্রকাশিত প্রতিবেদন। সেখানে বাইডেনকে প্রার্থিতা থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। দোটানায় পড়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির অর্থদাতারাও। অর্থের পর্যাপ্ত জোগান নিশ্চিত না হলে তা বাইডেনের নির্বাচনী প্রচারণায়ও প্রভাব ফেলবে।

বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, খোদ ডেমোক্র্যাটদেরই অনেকে বাইডেনের বিকল্প চাইছেন। তবে আদৌ তারা এই বিকল্প নিশ্চিত করতে সক্ষম কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারপরও জমে উঠেছে জল্পনা-কল্পনা।

এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স কথা বলেছে ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশন থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সিনিয়র ফেলো ইলাইন কামার্কের সঙ্গে। রয়টার্সের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাইডেনের বিকল্প হিসেবে কামালা হ্যারিস এক নম্বরে থাকবেন। যদিও আইন অনুযায়ী দল সরাসরি ভাইস প্রেসিডেন্টকে প্রার্থী মনোনীত করতে পারবে না।

কামার্ক আরও বলেন, বাইডেন প্রার্থীতা থেকে সরে দাঁড়ালে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর নিউসম, মিশিগানের গভর্নর গ্রেচেন হুইটমার, কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশার এবং ইলিনয়ের গভর্নর জেবি প্রিটজকার নির্বাচনী দৌড়ে এগিয়ে আসতে পারেন। কিন্তু তারা এখনও সবাই বাইডেনকে সমর্থন দিচ্ছেন, এমনকি নির্বাচনী প্রচারে অংশও নিচ্ছেন।

এ ছাড়া প্রার্থী হতে গেলে তাদের দলীয় প্রতিনিধিদের সমর্থন জোগাড় করা লাগবে। তবে এই বিতর্কের জের ধরে বাইডেন যদি প্রার্থিতা থেকে সরেও দাঁড়ান, তাহলে তার জায়গায় নতুন একজনকে নির্ধারণ করার বিষয়টি হবে সময়সাপেক্ষ ও জটিল। আদৌ নিজের দুর্বলতা মেনে নিয়ে বাইডেন সরে দাঁড়াবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়। সূত্র: সময় টিভি।

শেয়ার করুন