নিউইয়র্ক     সোমবার, ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৫.৭ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪ | ০১:৩৫ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪ | ০১:৩৫ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৫.৭ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস

চলতি বছর দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। তবে ২০২৫ সালে এ হার কমে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে মর্মে পূর্বাভাস দিয়েছে মাস্টারকার্ড ইকোনমিকস ইনস্টিটিউট (এমইআই)। গত ২৭ জুন সংস্থাটি ঢাকার গুলশানে একটি হোটেলে ‘গ্লোবাল অ্যান্ড বাংলাদেশ আউটলুক অ্যান্ড রিস্ক’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। এতে মূল প্রবন্ধ আলোচনায় এসব তথ্য তুলে ধরেন এমইআইয়ের এশিয়া প্যাসিফিক ও এমইএর চিফ ইকোনমিস্ট ডেভিড ম্যান। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানসহ উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর কান্ট্রি হেড এবং মাস্টারকার্ডের পার্টনার ব্যাংক ও ফিনটেক সংস্থাগুলোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিনিয়র কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশের স্থানীয় ও বহুজাতিক সংস্থাগুলোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসাররা অংশ নেন।

মূল্যস্ফীতির প্রবণতা, সুদের হার, বৈদেশিক মুদ্রার গতিশীলতা, রফতানি সক্ষমতা, রেমিট্যান্স প্রবাহ, অতিরিক্ত সঞ্চয় ও ক্রেডিট মার্কেট নিয়ে তথ্যভিত্তিক আলোচনা করা হয়। মূল্যস্ফীতির বিষয়ে ডেভিড ম্যান বলেন, ‘অব্যাহত মূল্যস্ফীতি ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। ফলে অর্থনীতিতে নানা ধরনের প্রভাব তৈরি হচ্ছে। এটি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে বাজার ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা নিয়ে আসা এবং পণ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি করতে হবে। বিশেষ করে আমদানির সুযোগ বৃদ্ধি এবং বিশেষ করে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি হতে পারে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ।

তবে এটি ২০২৫ সালে ৮ শতাংশে নামিয়ে আনার সুযোগ তৈরি হবে। সেক্ষেত্রে সরকারকে নীতিগত কিছু পরিবর্তন এবং উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘‌বর্তমানে এসএমই খাতকে গুরুত্ব দিয়ে নীতি প্রণয়ন করতে হবে। আমার মনে হয়, একজন ক্ষুদ্র এসএমই উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য একটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), পাসপোর্ট, আর একটি ইন্টারনেট সংযোগ হলেই যথেষ্ট। এর বাইরে কোনো নিয়ম চাপিয়ে দেয়া উচিত হবে না। কারণ স্বল্প আয়ের মানুষ সহজে ব্যবসা করতে চায়, তাদের পুঁজি কম, তারা ঝামেলায় জড়াতে চায় না। ফলে তাদের সুযোগ সৃষ্টি করে দিলে অর্থনীতিতে তাদের অবদান দৃশ্যমান হবে।’

প্রয়োজনীয় ও ঐচ্ছিক পণ্যের মধ্যে ভোক্তাদের ব্যয়ের ধরনে পরিবর্তন ও রেস্তোঁরায় খাওয়া এবং ই-কমার্স ও বিলাসবহুল ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দেয়ার বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। কিছু ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার এবং ভ্রমণের প্রবণতার মতো নানা বিষয়ে কথা বলেন বক্তারা।

শেয়ার করুন