নিউইয়র্ক     শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানবসভ্যতার ভবিষ্যতের জন্য হুমকি – বেশির ভাগ আমেরিকানের আশঙ্কা

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৩ | ০২:২৩ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২০ মে ২০২৩ | ০২:২৩ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানবসভ্যতার ভবিষ্যতের জন্য হুমকি – বেশির ভাগ আমেরিকানের আশঙ্কা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির দ্রুত উত্থান মানবসভ্যতার ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। গত ১৭ই মে বুধবার প্রকাশিত রয়টার্স/ইপসোস পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী বেশির ভাগ আমেরিকান এমন আশঙ্কাই করছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ আমেরিকান উদ্বিগ্ন। তাদের ৬১ শতাংশই মনে করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সভ্যতাকে হুমকির মধ্যে ফেলতে পারে।ওপেন এআইয়ের চ্যাটজিপিটি চ্যাটবট সর্বকালের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অ্যাপ্লিকেশন হয়ে উঠেছে। তাই দৈনন্দিন জীবনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যাপক একীভূতকরণ এই প্রযুক্তিকে জনসাধারণের আলোচনার অগ্রভাগে নিয়ে এসেছে।

চ্যাটজিপিটির মধ্য দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে অস্ত্র প্রতিযোগিতার মতো দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। মাইক্রোসফট ও গুগলের মতো প্রভাবশালী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় একে অপরের অর্জনগুলো ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

বিষয়টি নিয়ে আইনপ্রণেতা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করা কোম্পানিগুলোও উদ্বিগ্ন। ওপেন এআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যাম অল্টম্যান গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে এক শুনানিতে অংশ নিয়ে এ বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি এই প্রযুক্তির সম্ভাব্য অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং তা নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে বলেন। সিনেটর কোরি বুকার বলেন, এই দৈত্যকে বোতলে পুরে রাখার কোনো সুযোগ নেই। বিশ্বব্যাপী এটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। মঙ্গলবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ে সিনেট প্যানেলের শুনানিতে অনেক আইনপ্রণেতার মধ্যে এই সিনেটরের প্রশ্ন ছিল, কীভাবে আইনের মাধ্যমে এই প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

সুমি/পরিচয়

শেয়ার করুন