নিউইয়র্ক     রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ : ‘মিশন সম্পন্নের’ দুই দশক পরেও যা করছে যুক্তরাষ্ট্র

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৩ | ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৬ মে ২০২৩ | ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ : ‘মিশন সম্পন্নের’ দুই দশক পরেও যা করছে যুক্তরাষ্ট্র

দুই দশক আগে ২০০৩ সালের ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ মার্কিন  নরণতরী ইউএসএস আব্রাহাম লিঙ্কনের ওপর দাঁড়িয়ে ইরাকে মূল সামরিক অভিযান সমাপ্তির ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাঁর পেছনে টাঙানো ব্যানারে লেখা ছিল ‘মিশন সম্পন্ন’।

ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান শুরুর মাত্র ৪৩ দিনের মাথায় নাটকীয় ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বুশের ওই ঘোষণার মাধ্যমে বোঝানো হয়েছিল, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের শুরু করা ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক যুদ্ধ’-এর একটি পর্ব শেষের সূচনা।

কিন্তু বাস্তবতা ছিল অভিযান শেষ হওয়া থেকে অনেক দূরে। এরপরে যুক্তরাষ্ট্র আরও সেনা পাঠাতে থাকে ইরাকে। সেখানে তাদের সেনার সংখ্যা সর্বাধিক হয় ২০০৭ সালে, ১ লাখ ৬৮ হাজার। যদিও ২০০১ সালের ৯/১১ নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসিতে চালানো ওই সন্ত্রাসী হামলায় ইরাকের সম্পৃক্ততার কোনো তথ্য-প্রমাণ ছিল না।

এরপর যুক্তরাষ্ট্র তার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ আরও বিস্তৃত করে। নিজেরা সামরিক অভিযান ও হামলা চালানোর পাশাপাশি কখনো কখনো সহযোগী দেশের বাহিনী দিয়ে ২০টির বেশি দেশে এই যুদ্ধ ছড়িয়ে দেয় তারা। নিজেদের নিরাপত্তার জন্য যাদেরই হুমকি মনে করেছে, সেসব দেশেই কথিত এই যুদ্ধ ছড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ব্রেনান সেন্টার ফর জাস্টিসের লিবার্টি অ্যান্ড ন্যাশনাল সিকিউরিটি কর্মসূচির পরামর্শক ক্যাথেরিন ইয়ন ইব্রাইট বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ সব সাবেক প্রেসিডেন্টের প্রশাসনগুলো ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ নিয়ে যেসব কথা বলেছে ও কৌশল নিয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনা করলে গণতান্ত্রিক জবাবদিহির ঘাটতি ধরা পড়বে।

ইব্রাইট বলেন, গত দুই দশকে এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা ‘ক্যানসারের মতো’ বিস্তৃত হওয়ায় জবাবদিহির ঘাটতি অব্যাহত থেকেছে। বিশেষত আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশে দেশে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ হয়েছে। এই লড়াই এভাবে বিস্তৃত হওয়ার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের সামরিক অভিযান থেকে সরে আসাটা ভূমিকা রেখেছে।

ইব্রাইট বলেন, ‘কিছু বিষয় নিয়ে আমরা প্রকৃতপক্ষে কোনো কথা বলিনি। তাহলো কথিত এসব শত্রুর পেছনে ছোটা কি আমাদের জন্য কোনো অর্থ তৈরি করে? আসলেই কি এরা আমাদের শত্রু নাকি স্থানীয় স্বার্থের বিবেচনায় স্থানীয় বিভিন্ন গোষ্ঠী?’ তিনি বলেন, আসলে গণতন্ত্রে এমন আগ বাড়িয়ে কাজ করার অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
সুমি/পরিচয়

শেয়ার করুন