নিউইয়র্ক     শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্র ঋণখেলাপি হলে ক্ষতির শঙ্কা বেশির ভাগ আমেরিকানের

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৩ | ০১:১১ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২০ মে ২০২৩ | ০১:১৫ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
যুক্তরাষ্ট্র ঋণখেলাপি হলে ক্ষতির শঙ্কা বেশির ভাগ আমেরিকানের

যুক্তরাষ্ট্র ঋণখেলাপি হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ায় কপালে বড় ভাঁজ পড়েছে আমেরিকাবাসীদের। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চারজন নাগরিকের মধ্যে তিনজন মনে করেন, সরকার খেলাপি হলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সম্প্রতি রয়টার্স ও ইপসোসের এক জরিপে এ চিত্র উঠে এসেছে।

তবে এই উদ্বেগের ফলে জনমত ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বা কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণে থাকা রিপাবলিকান—কারও পক্ষেই যায়নি। গত ৯ থেকে ১৫ মে অনলাইনে অনুষ্ঠিত এই জরিপে ৪ হাজার ৪১৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক অংশ নেন। এর মধ্যে ৮৪ শতাংশ স্বঘোষিত ডেমোক্র্যাট এবং ৭৭ শতাংশ স্বঘোষিত রিপাবলিকান সমর্থক।

জরিপের ফল তুলে ধরে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, খেলাপি হওয়া ঠেকাতে ঋণসীমা নিয়ে দুই পক্ষকে অবশ্যই একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে বলে ৭৬ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন। তা না হলে সপরিবারে অর্থনৈতিক চাপে পড়বেন তাঁরা। তবে ২৯ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন, বিষয়টি নিয়ে বেশি মাতামাতি হচ্ছে।

জরিপে দেখা যায়, ঘনিয়ে আসা সংকট মোকাবিলার পদ্ধতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা বিভক্ত। বাইডেনের অবস্থান সমর্থন করে ৪৯ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, সংকট এড়াতে কংগ্রেসের উচিত নিঃশর্তে ঋণের সর্বোচ্চ সীমা বাড়াতে সম্মত হওয়া। এই দলে আছেন ৬৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট ও ৩৯ শতাংশ রিপাবলিকান।

তবে ৫১ শতাংশ আমেরিকান কিন্তু রিপাবলিকানদের অবস্থানকে সমর্থন করে বলছেন, সরকারের ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে না কমিয়ে ঋণের সীমা বাড়ানো উচিত নয়। এই দলে ৬৯ শতাংশ রিপাবলিকান ও ৪২ শতাংশ ডেমোক্র্যাট সমর্থক।

রাজস্ব আদায় না বাড়ায় সরকারের ব্যয় মেটাতে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে উঠে সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে ফেলেছে। এখন ঋণসীমা বাড়ানো নিয়ে অচলাবস্থা চলছে এক মাস ধরে। চলতি মাসের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন সতর্ক করে বলেছিলেন, ‘যদি কংগ্রেস উদ্যোগ নিয়ে ঋণসীমা না বাড়ায়, তবে ১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ঋণখেলাপি হতে পারে।’ অর্থনীতি বিশ্লেষকেরাও বলছেন, ঋণখেলাপি হলে যুক্তরাষ্ট্র তীব্র মন্দার মুখে পড়বে এবং এতে সংকট তৈরি হবে বিশ্ব অর্থনীতিতেও।

সুমি/পরিচয়

শেয়ার করুন