নিউইয়র্ক     রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপার্টমেন্টে দেহব্যবসা, খদ্দের রাজনীতিবিদ-আইনজীবী-অধ্যাপক-সেনা কর্মকর্তাসহ অনেকে

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৩ | ১০:০১ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৩ | ১০:০১ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপার্টমেন্টে দেহব্যবসা, খদ্দের রাজনীতিবিদ-আইনজীবী-অধ্যাপক-সেনা কর্মকর্তাসহ অনেকে

অ্যাপার্টমেন্ট কেন্দ্রিক দেহব্যবসা করা একটি চক্রকে শনাক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। এই চক্রের খদ্দের ছিলেন দেশটির বিভিন্ন স্তরের রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, অধ্যাপক, সেনা কর্মকর্তাসহ আরও অনেকে। চক্রটির তিন সদস্যকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই চক্র ২০২০ সালের জুলাই থেকে কাজ করে আসছিল। তাদের মূল টার্গেট ছিল রাজধানী ওয়াশিংটন ও ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টন এলাকার উচ্চবিত্ত পুরুষেরা। মার্কিন বিচার বিভাগ গতকাল বুধবার জানিয়েছে, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, অধ্যাপক, সেনা কর্মকর্তা ছাড়াও চিকিৎসক এবং সরকারি ঠিকাদারেরা ওই চক্রের অন্যতম খদ্দের ছিলেন।

এ বিষয়ে ম্যাসাচুসেটসের অ্যাটর্নি জোশুয়া লেভি বলেন, এমন কোনো পেশা পাবেন না, যে পেশার লোকেরা এই চক্রের সেবা নিত না। তবে মার্কিন বিচার বিভাগ কোনো খদ্দেরের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি। গ্রেপ্তার হওয়া তিন ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেছে বিচার বিভাগ। জোশুয়া জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হান লি, জানমিয়াং লি ও জেমস লি।

এই তিনজনের বিরুদ্ধে নারীদের জোর করে, প্রলুব্ধ করে অবৈধ যৌন সম্পর্কে লিপ্ত করার চেষ্টা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁদের প্রত্যেকের ২০ বছরের কারাদণ্ড হবে।

জোশুয়া লেভি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই চক্র ম্যাসাচুসেটসের ক্যামব্রিজ, ওয়াটারটাউন, ওয়াশিংটনের ফেয়ারফ্যাক্স ও ভার্জিনিয়ার টাইসন এলাকার বিভিন্ন অ্যাপার্টমেন্টকে কেন্দ্র করে ব্যবসা পরিচালনা করত। জোশুয়া বলেন, ‘এই দেহব্যবসায় চক্রটি খুবই গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে বিত্তশালী একদল খদ্দের তৈরি করেছিল।’ তিনি জানান, চক্রটির ব্যবসা প্রতিনিয়ত ফুলে-ফেঁপে উঠছিল।

ম্যাসাচুসেটসের এই অ্যাটর্নি আরও দাবি করেছেন, অভিযুক্তরা এশীয় নারীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন পতিতালয়ে যেতে বাধ্য করতেন এবং সেখানে নিয়ে গিয়ে তাঁদের দেহব্যবসায় নামতেন। দুটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খদ্দের খোঁজা হতো। সেই ওয়েবসাইট দুটি মূলত এশীয় মডেলদের নগ্ন ছবি প্রকাশের জন্য ব্যবহার করা হতো। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন