নিচে থেকে ইউক্রেনের নির্দেশনাটা ছিল পরিষ্কার – এসইউ-৩৫ যুদ্ধবিমান তাদের সিলকা এয়াক্র্যাফটের দিকে মিসাইল ছুঁড়েছে। পাইলট জানে যে জীবন বাঁচাতে তার এখন এই মিশন পরিত্যাগ করা ছাড়া উপায় নেই। ইউক্রেনের পাইলট যার সাংকেতিক নাম ‘সিল্ক’ তার মিগ-২৯ বিমানটি দ্রুত নিচের দিকে নামিয়ে আনেন। এটা এতটাই নিচ দিয়ে উড়তে থাকে যে গাছের উপরটা পরিষ্কার দেখা যায়।
সোভিয়েত আমলে পুরনো এই বিমানে যখন সর্বোচ্চ গতিবেগ তোলা হয় তখন বিমানটি কাঁপতে থাকে। সিল্ক বিভিন্ন টাওয়ার ও পাহাড় টপকে উড়ে চলে যায়, এই জায়গাগুলি সে আগেই মানচিত্রে দেখে রেখেছিল যাতে জরুরী প্রস্থান করা যায়। “মাটি থেকে সামান্য উচ্চতায় উড়াটা সবচেয়ে কঠিন, সর্বোচ্চ মনোযোগ রাখতে হয়। আর যেহেতু খুব নিচ দিয়ে চলে তাই হঠাৎ নিরাপদে এখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় ও স্থান কোনটাই পাওয়া যায় না।”—বলেন সিল্ক।
সিল্কের ব্যবহৃত এমন জেট ফাইটারগুলি দিয়েই সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত ইউক্রেনের বাহিনী। ‘সিলকার’ মিশন হল আকাশে রাশিয়া তাদের বিমান লক্ষ্য করে যে মিসাইলগুলি ছুড়ছে সেগুলো ঠেকানো। কিন্তু আসলে ইউক্রেনের এই পুরনো বিমানগুলি খুব সামান্য কিছুই করতে পারছে। আরেক মিগ-২৯ পাইলট যার সাংকেতিক নাম ‘জাস’ বলছিলেন – “আমাদের প্রধান শত্রু হল রাশিয়ান এসইউ-৩৫ ফাইটার জেট।”
“রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষার অবস্থান সম্পর্কে আমরা অবগত, তাদের সীমানাও আমরা জানি। এটা অনুমান করা খুবই সহজ, ফলে সেভাবে আমরা হিসাব কষতে পারি যে কতক্ষণ তাদের অঞ্চলে আমরা থাকতে পারবো। কিন্তু ফাইটারের ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব নয়। তারা দূর থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়, সবটা পরিষ্কার দেখতে পারে, তারা সহজেই জেনে যায় যে কখন আমরা উড়ে সামনা-সামনি যাবো।”-সুত্র বিবিসি
সাথী/পরিচয়