নিউইয়র্ক     রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভর্তুকি নিয়ে ইইউ-এর সঙ্গে আলোচনায় গতি দেখছে যুক্তরাষ্ট্র

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ | ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
ভর্তুকি নিয়ে ইইউ-এর সঙ্গে আলোচনায় গতি দেখছে যুক্তরাষ্ট্র

দুই পক্ষের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা চলছে, তবে এখনও কোন সুরাহা হয়নি। তবে ভর্তুকি নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেও আলোচনা গতি পাচ্ছে বলে মনে করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে যে, তারা আসন্ন মার্কিন ভর্তুকি নিয়ে ব্রাসেলসের আশঙ্কা মোকাবেলায় আলোচনা আরও জোরদার করবে।

ওয়াশিংটনের মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস আইন (আইআরএ) ইউরোপীয় ইউনিয়নে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে , কারণ তা ইউরোপীয় সংস্থাগুলোকে অসুবিধায় ফেলতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং মুদ্রাস্ফীতি মোকাবেলা করার পরিকল্পনার আওতায় যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৩৭০ বিলিয়ন ডলার ভর্তুকি দেবে। এর ফলে মার্কিন তৈরি পণ্য কেনার জন্য ট্যাক্স উদার করা হয়েছে। তবে শুধুমাত্র কানাডা এবং মেক্সিকোর মত দেশ যাদের যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে তারাই এই ভর্তুকি থেকে উপকৃত হবে।

“আমরা ইইউ-এর উদ্বেগ স্বীকার করি এবং গঠনমূলকভাবে তা মোকাবেলা করার জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি রয়েছে,” মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈঠকের পর দুপক্ষ একটি যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, আলোচনার মাধ্যমে “প্রাথমিক অগ্রগতি” হয়েছে। ইইউ এর বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডমব্রোভস্কিস বলেছেন, তার প্রতিনিধি দল কিছুটা আশাবাদী হয়ে বৈঠক শেষ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র কি বলছে ?

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, যিনি বৈঠকের সহ-সভাপতি ছিলেন, জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইইউ এর উদ্বেগ নিরসনে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে এবং উদ্বেগের বিষয়গুলো অবগত হওয়ার সাথে সাথে মোকাবেলা পদক্ষেপ নেয়া হবে।

“আমি মরে করি আমরা আমাদের আলোচনাকে এগিয়ে নিতে পেরেছি। মতপার্থক্য কমিয়ে আমরা এই আলোচনাকে আরও বেগবান করতে পারি,” বলছিলেন ব্লিঙ্কেন। পরে এক টুইটে ব্লিঙ্কেন লিখেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ মিলিতভাবে “ভাল বেতনের চাকরি সৃষ্টি ও জলবায়ু সংকট মোকাবেলা করতে পারে, যার ফলে কোন পক্ষই ক্ষতির সম্মুখীন হবে না।”

ইইউ কি চায় ?

ডয়েচে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ইইউ বাণিজ্য কমিশনার ডোমব্রোভস্কিস স্বীকার করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস আইন “ইইউ ও ঘনিষ্ঠ মিত্রদের বিরুদ্ধে বৈষম্যের উদ্দেশ্যে নয়।” তবে কানাডা ও মেক্সিকো যে সুবিধা পাচ্ছে তা ইইউও পাবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, ট্রান্স-আটলান্টিক বাণিজ্য সম্পর্ক প্রভাবিত হতে পারে বিবেচনায় মার্কিন এই আইনের সমন্নয় করা প্রয়োজন। সম্প্রতি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সতর্ক করে বলেছেন যে, এই ধরনের “অতি আক্রমণাত্মক” ভর্তুকি পশ্চিমাদের বিভক্ত করতে পারে।

শেয়ার করুন