আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২৪ জুন দেশটিতে পা রাখবেন তিনি। মোদির সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। বুধবার (১০ মে) একটি বিবৃতির মাধ্যমে মোদি সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রযুক্তি, বাণিজ্য ও শিল্পের মতো ক্ষেত্রসহ অন্যান্য নানা ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়া আরও বৃদ্ধি করার জন্য আলোচনায় বসতে চলেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ভারত ও আমেরিকার সম্পর্কের যে গভীরতা তাকে সর্বদা গুরুত্ব দিতে চায় ওয়াশিংটন। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে অবাধ ও সুরক্ষিত রাখার জন্য দুই দেশই দায়বদ্ধ। তাছাড়া প্রতিরক্ষা ও পরিবেশ-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দুই দেশের কৌশলগত বোঝাপড়া রয়েছে। মোদীর সফর এই বিষয়গুলোকে আরও জোরদার করবে বলে মনে করছে বাইডেন প্রশাসন।
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া তো বটেই, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমশ প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে চীন। তাছাড়া সীমান্তেও চীনের ভূমিকায় অস্বস্তি রয়েছে নয়াদিল্লির। এই আবহে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ককে আরও জোরদার করার পথেই হাঁটবে মোদী সরকার।অন্যদিকে চীনের প্রভাব রুখতে ভারতের ওপর নির্ভরতা ক্রমশ বাড়ছে ওয়াশিংটনেরও। এর আগে ২০২১ সালে কোয়াড গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর বৈঠকে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন মোদি। সেটা অবশ্য তার পূর্ণাঙ্গ সফর ছিল না। সূত্র : ঢাকা পোস্ট
এসএ/এমএএস/এমইউএ/টিএ/পরিচয়
