আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটানের পাঁচ আরোহীর মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব নাও হতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন কোস্টগার্ড। সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাউগার।
রোববার (১৮ জুন) থেকে নিখোঁজ ডুবোযান টাইটান সাব-এর যাত্রীদের মৃত বলে মনে করা হচ্ছে। এমনটাই দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার যৌথ উদ্ধারকারী দল।
এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল মাউগার বলেছেন, ‘‘ইউএস কোস্টগার্ড টাইটান সাব বোর্ডে থাকা পাঁচ যাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হব কিনা তা আমি নিশ্চিত না।’’
এ মর্মান্তিক ঘটনায় পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে কোস্টগার্ডের অ্যাডমিরাল আরও বলেন, ‘‘আমি কেবল কল্পনা করতে পারি যে এটি আমাদের জন্য কেমন ছিল।’’
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব জেমস ক্লিভারলি পাঁচ টাইটান যাত্রীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট করেছেন। তিনি টুইট করে লিখেছেন, ‘‘দুঃখজনক খবর যে তিনজন ব্রিটিশ নাগরিকসহ টাইটান ডুবোযানে থাকা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে যুক্তরাজ্য সরকার ঘনিষ্ঠভাবে সমর্থন করছে এবং আমাদের গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।’’
ওশানগেট বলেন, ‘‘আমরা এই দুঃসময়ে এই পাঁচটি আত্মা এবং তাদের পরিবারের প্রতিটি সদস্যের সাথে রয়েছি।”
গত রোববার (১৮ জুন) টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে সাগরের তলদেশে যাওয়ার পৌনে দুই ঘণ্টা পর ডুবোযানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় সাবমেরিনে ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন ছিল।
ডুবোযানে থাকা অবস্থায় নিখোঁজ হয়েছেন—পাকিস্তানের ধনকুবের শাহজাদা দাউদ, তার ছেলে সুলেমান, যুক্তরাজ্যের ধনকুবের হ্যামিশ হার্ডিং, ফরাসি সাবমার্সিবল পাইলট পল হেনরি ও টাইটানিক অভিযান সংস্থার সিইও স্টকটন রাশ।