ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার ২২তম বার্ষিকীর ঠিক কয়েকদিন আগে ওই ঘটনায় নিহত আরো দুজনকে শনাক্ত করেছে নিউইয়র্ক সিটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। মেয়রের কার্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। খবর সিএনএন।
এক পুরুষ ও এক নারী দেহাবশেষের উন্নত ডিএনএ প্রযুক্তিতে পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে। যাদের ১৬৪৮তম ও ১৬৪৯তম ভুক্তভোগী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে দুজনের পরিবারের অনুরোধে নাম-পরিচয় গোপন রেখেছে মেয়রের কার্যালয়।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের ওই হামলার পর নথিবদ্ধ তথ্য মতে, দুই ৭৫৩ জন নিখোঁজ হন। এরপর গত দুই দশক ধরে শনাক্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সর্বশেষ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে পরিচয় শনাক্তের খবর পাওয়া যায়।
মেয়রের কার্যালয় জানায়, পরিচয় শনাক্তে পরবর্তী প্রজন্মের সিকোয়েন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। যা পুরো ডিএনএ কৌশলগুলোর চেয়ে বেশি সংবেদনশীল ও দ্রুত কাজ করে। একই পদ্ধতি মার্কিন সামরিক বাহিনীর নিখোঁজ সদস্যদের দেহাবশেষ শনাক্তে ব্যবহার করা হয়।
প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সত্ত্বেও মনে করা হয়, ওই হামলায় নিহত ৪০ শতাংশ মানুষের দেহাবশেষ চিহ্নিত করা যায়নি। এ সংখ্যা প্রায় এক হাজার ১০০।
ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার পর লোয়ার ম্যানহাটনে মোট দুই হাজার ৭৫৩ জন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যায়। একই সংখ্যক ডেথ সার্টিফিকেটও দেয়া হয়। তবে দুই দশক পরও সাইট থেকে প্রাপ্ত দেহাবশেষের সঙ্গে ভুক্তভোগীদের পরিচয় অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
শহরটির প্রধান চিকিৎসা পরীক্ষক জেসন গ্রাহাম চলমান প্রচেষ্টাকে ‘দেশের ইতিহাসে বৃহত্তম ও সবচেয়ে জটিল ফরেনসিক তদন্ত’ বলে অভিহিত করেছেন।