নিউইয়র্ক     শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“বহুজাতিক সমাজে বাংলা সংস্কৃতি ও সঙ্গীত এখন অনন্য স্থানে”

জ্যাকসন হাইটস্ এর বৈশাখী মেলায় আবু জাফর মাহমুদকে নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেমব্লি’র বিশেষ সম্মাননা

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ মে ২০২৩ | ১০:৫৯ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২০ মে ২০২৩ | ১০:৫৯ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
জ্যাকসন হাইটস্ এর বৈশাখী মেলায় আবু জাফর মাহমুদকে নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেমব্লি’র বিশেষ সম্মাননা

বীর মুুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মাহমুদ বলেছেন, আমেরিকান অন্যান্য সংস্কৃতির মধ্যে বাংলা সংস্কৃতি ও সঙ্গীত এখন অনন্য স্থানে পৌঁছেছে। এর পেছনে যারা কাজ করছেন তারা ধন্যবাদ পাবার দাবি রাখেন। আমি বিশ্বাস করি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তারা একেকটি আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশের পক্ষে একটি প্রবাহ তৈরি করেন। বাংলাদেশের সেই সাংস্কৃতিক প্রবাহ এখন সফল একটি উচ্চতায় পৌঁছেছে।

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাউন্টেন ব্যাটালিয়ন কমা-ার, নিউইয়র্কে হোম কেয়ার সেবার পথিকৃৎ, বাংলা সিডিপ্যাপ ও অ্যালেগ্রা হোম কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এ- সিইও আবু জাফর মাহমুদ গত ১৪ মে রিববার জ্যাকসন হাইটস এর প্রাণকেন্দ্রে শোটাইম মিউজিক আয়োজিত বৈশাখী মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন। নিউইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউটিনির সাংস্কৃতিককর্মী আলমগীর খান আলম পরিচালিত শো টাইম মিউজিক ওই মেলার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে কমিউনিটির সুপরিচিত সংগঠক ফাহাদ সোলাইমানসহ মেলার পৃষ্ঠপোষক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

 

মেলার পরিবেশনা মঞ্চে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মাহমুদকে তার মানবসেবা, কমিউনিটি উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেমব্লি থেকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। ওই সম্মাননা হস্তান্তর করেন নিউইয়স্ক স্টেট এর ৩০ নং ডিস্ট্রিক্ট এর অ্যাসেমব্লি মেম্বার স্টিভেন বি রাগা।

মেলায় নিউইয়র্কে বসবাসকারী বাংলাদেশি শিল্পীরা বৈশাখের বিভিন্ন সঙ্গীত পরিবেশন করেন। মেলায় দেশি পণ্যসামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসে স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

উদ্বোধনী বক্তৃতায় আবু জাফর মাহমুদ বলেন, বৈশাখী মেলা আর অন্যান্য মেলার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। বাংলা সনের সঙ্গে চন্দ্র সন ও ফসলী সনের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এর সঙ্গে বাংলাদেশের জীবনপ্রবাহ জড়িত। আমরা যখন মোগল শাসিত ছিলাম, তখন কৃষিজীবী জনগোষ্ঠির ফসলি হিসাব, ব্যবসার হিসাব ঠিক রাখার জন্যই স¤্রাট আকবর যে সন গণনার প্রবর্তন করেন, সেটিই বাংলা সন। মানুষের জীবিকাকে সঠিক হিসেবের মধ্যেই আনার জন্যই সাল গণনার সূত্রপাত। বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখ। বৈশাখকে ঘিরেই আমরা হালখাতা করে আসছি। বছরের প্রথম দিনের ‘হাল’ দিনের হিসাব খোলাটিই হালখাতা। আমরা বাংলা অঞ্চল থেকে এসে এখন যেহেতু পৃথিবীময় ছড়িয়ে পড়েছি, তার নেতৃত্বটা দিচ্ছি আমেরিকা থেকে। বাংলা নতুন বছরে এসে, আমাদের জীবনধারা, ভাতৃত্ব ও আগামীর করণীয় নির্ধারণ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আবু জাফর মাহমুদের জয় বাংলাদেশ মিডিয়া ইনক্ নির্মিত ‘বৈশাখ, বাংলাদেশ ও ভালোবাসা’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুসারে

শেয়ার করুন