নিউইয়র্ক     শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়বে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত!

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৩ | ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৩ | ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
চীনের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়বে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত!

চীনকে দেখিয়ে দেখিয়ে ভারতকে আলিঙ্গন করছে যুক্তরাষ্ট্র! প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশেষ আমন্ত্রণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফরে এমন চিত্রই যেন ফুটে উঠেছে। চলমান বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী চীন। ভারতের সঙ্গেও চীনের সম্পর্কের টানাপোড়েন বহুদিনের। আর এ কারণেই চীনের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়তে চায় যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত। খবর নিকেই এশিয়ার।

গত ২২ জুন হোয়াইট হাউসে মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের পর বাইডেন মার্কিন-ভারত সম্পর্ককে বিশ্বের সবচেয়ে পরিণত, ইতিহাসের যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী, ঘনিষ্ঠ এবং আরও গতিশীল বলে উল্লেখ করেন। দুই দেশের নেতাদের একসঙ্গে এত কাছাকাছি আলোচনা করাটা আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের কাছে অনেকটা অস্বাভাবিক মনে হয়েছে।

কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে মার্কিন ‘শত্রু’ রাশিয়ার সঙ্গেই সখ্য বেশি ভারতের। তার পরও কেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ? শুধু চীনকে দেখাতেই কি তা হলে এত আয়োজন? এ বিষয়ে ওয়াশিংটনের উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউশনের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, এটি খুবই বিড়ম্বনার বিষয় যে, যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক ভারতের সঙ্গে কর্তৃত্ববাদী চীনের পার্থক্যও করতে চায়। দুই নেতা যা চেয়েছেন তাই পেয়েছেন। তারা এমন একটা অংশীদারত্বে পৌঁছেছে, যা দেখানোর জন্য তারা আগ্রহী ছিলেন।

বাইডেন সরকার বরাবরই চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ হিসাবে বিবেচনা করে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয়ই প্রকাশ্যে চীন ফ্যাক্টরকে আলোচনায় রেখেছে। তবে কংগ্রেসের ভাষণে মোদি স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি আইনপ্রণেতাদের ‘মুক্ত, উন্মুক্ত এবং ইন্দো প্যাসিফিক’ বিষয়গুলোকে সমর্থন করেন। ভারত অর্থনীতি দ্রুত বর্ধনশীল, যা বিশ্বের জনবহুল দেশ চীনকে ছাড়িয়ে গেছে। চীনের সঙ্গে ভারতের দ্বন্দ্বও দীর্ঘকালের। চীনের সঙ্গে ভারতের এ দ্বন্দ্বকে ভারতের জনগণও ব্যাপকভাবে নেতিবাচক হিসাবে দেখে।

সফরে ওপেন রেডিও অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইসিইটি উদ্যোগের অধীনে উদ্ভাবন, ভারতের হালকা যুদ্ধবিমানের জন্য অ্যারো-ইঞ্জিন প্রযুক্তি, একটি সেমিকন্ডাক্টর প্রতিষ্ঠার মতো সেক্টরগুলো, ভারতে অ্যাসেম্বল করা, পরীক্ষার সুবিধা, রেয়ার আর্থ এবং খনিজ সুরক্ষা, মহাকাশ অনুসন্ধানে সহযোগিতা, বাণিজ্য সমস্যা সমাধান এবং নতুন কনস্যুলেট স্থাপনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই পক্ষ গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি করেছে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং অনিশ্চিত বিশ্বে অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি হিসেবে ভারতের ভবিষ্যতের জন্য এগুলোর সুদূরপ্রসারী তাৎপর্য রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির সফর ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভূ-অর্থনৈতিক এবং ভূ-কৌশলগত রূপরেখায়ও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

শেয়ার করুন