নিউইয়র্ক     সোমবার, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণ-অভিবাসনের রেকর্ড সংখ্যক সীমান্ত পারাপারকে রোধ করার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের প্রচেষ্টাকেই অনুসরণ করছেন বাইডেন প্রশাসন

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ | ১১:৩৮ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৩ | ১১:৪৯ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
গণ-অভিবাসনের রেকর্ড সংখ্যক সীমান্ত পারাপারকে রোধ করার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের প্রচেষ্টাকেই অনুসরণ করছেন বাইডেন প্রশাসন

নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

কিউবা, নিকারাগুয়া ও হাইতির অভিবাসীদের দ্রুত বহিষ্কার করতে ট্রাম্প-যুগের বিধিনিষেধ প্রসারিত করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যারা অবৈধভাবে মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রম করছে, তাদের উদ্দেশ করে গত ৫ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে দেয়া এক বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, সীমান্ত পথে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নতুন সীমান্ত আইন করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে আরো সুশৃঙ্খল, নিরাপদ ও মানবিকভাবে অভিবাসন প্রত্যাশীরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবে।

নতুন নীতি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র প্রতি মাসে কিউবা, নিকারাগুয়া, হাইতি এবং ভেনিজুয়েলার ৩০ হাজার মানুষকে আকাশপথে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে। মার্কিন অনুমোদন ছাড়া কিউবা, নিকারাগুয়া বা হাইতি থেকে আসা অভিবাসীদের জন্য বাইডেনের বক্তব্য হলো, ‘অযথা সীমান্তে ভিড় জমাবেন না।’ বাইডেন আরও বলেন, ‘এই পদক্ষেপগুলো এককভাবে আমাদের পুরো অভিবাসন ব্যবস্থাকে ঠিক করতে যাচ্ছে না, তবে তারা একটি ভালো চুক্তিতে সহায়তা করতে পারে।’ মার্কিন প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী গত নভেম্বরে ওই লাতিন আমেরিকার দেশগুলো থেকে অন্তত ৮২ হাজার অভিবাসী মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে বিনা অনুমতিতে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল।

তবে বাইডেনের নতুন এই পরিকল্পনা, অনেকটাই তার পূর্বসূরি রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনের অভিবাসন নীতির সম্প্রসারিত ‍রুপ বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। গণ-অভিবাসনের রেকর্ড সংখ্যক সীমান্ত পারাপারকে রোধ করার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের যে বৃহত্তর প্রচেষ্টা, তারই অংশ হিসাবে বাইডেন তার এই অভিবাসন পরিকল্পনার সম্প্রসারণ ঘটাচ্ছেন।

এর আগে গত ৪ জানুয়ারী বুধবার মেক্সিকো সীমান্ত পরিদর্শনে যাওয়ার অভিপ্রায় জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই হবে তার প্রথম সফর। আগামী সপ্তাহে মেক্সিকো সিটিতে, মেক্সিকো ও কানাডার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূত্র ধরেই তার এই সীমান্ত পরিদর্শন। কেনটাকি সফরের সময় সাংবাদিকদের বাইডেন বলেন, ‘সীমান্তে কী ঘটছে, তা আমি দেখতে চাই। এটাই আমার উদ্দেশ্য। এটা নিয়ে আমরা এখন বিস্তারিতভাবে কাজ করছি।’

সীমান্তে অভিবাসীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। রিপাবলিকান নেতারা সীমান্ত নিরাপত্তায় অকার্যকর নীতিগুলোর জন্য প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করেন। এমনকি তারা সেখানে ভ্রমণ না করা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তবে এবার বাইডেনের এই সীমান্ত সফরের খবরে অনেকেই প্রশংসা করেছেন।

অন্যদিকে গত ডিসেম্বরে অবৈধ পথে মেক্সিকোসহ লাতিন আমেরিকার দেশগুলো থেকে আসা অভিবাসীদের ঠেকাতে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৈরি দেয়াল সরিয়ে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের সরকার মেক্সিকো সীমান্তে অবৈধ অভিবাসী ঠেকানোর লক্ষ্যে তৈরি একটি অস্থায়ী দেয়াল সরিয়ে ফেলতে রাজি হয়েছে। এই দেয়ালের কার্যকারিতা নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেয়া হলো।

৯০০টিরও বেশি শিপিং কন্টেইনার দিয়ে তৈরি এই দেয়াল নির্মাণ করতে সরকারের অন্তত ৮ কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে। অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের সঙ্গে প্রতিবেশী রাষ্ট্র মেক্সিকোর ৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে এই সীমান্তের এক বিশাল অংশে বেড়া তৈরি করা হয়। তবে এবার গভর্নর নির্বাচনের পর ডাগ ডুসির দায়িত্ব ত্যাগ এবং তার ডেমোক্রেটিক উত্তরসূরি কেটি হবসের দায়িত্ব গ্রহণের দুই সপ্তাহ আগে দেয়ালটি ভেঙে দেয়ার ঘোষণা করা হয়।

সাথী / পরিচয়

শেয়ার করুন