নিউইয়র্ক     শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মজুত বাড়িয়েও তেলের দরপতন ঠেকাতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | ০৩:০৫ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | ০৩:০৫ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
মজুত বাড়িয়েও তেলের দরপতন ঠেকাতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র

জ্বালানি তেলের দরপতন ঠেকাতে সরবরাহ কমাতে মজুত গড়ার প্রচেষ্টা নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তাতেও খুব একটা কাজ হয়নি। সরবরাহের বিপরীতে চাহিদা কম থাকায় তেলের দাম বিগত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার জ্বালানি তেলের দাম প্রায় ৩ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে যেসব ব্রেন্ট ক্রুড বা অপরিশোধিত ব্রেন্ট বিক্রি করা হবে তার দাম ব্যারেল প্রতি ২ দশমিক ৭৯ ডলার বা ৩ দশমিক ৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৭৩ দশমিক ২৪ ডলারে এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের যে ক্রুড বা অপরিশোধিত তেল আগামী জানুয়ারিতে বিক্রি হবে তার দাম ব্যারেল প্রতি ২ দশমিক ৭১ ডলার বা ৩ দশমিক ৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬৮ দশমিক ৬১ ডলার।

গত নভেম্বরে মার্কিন কনজ্যুমার প্রাইস ইনডেক্সে জ্বালানি তেলের দাম অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়েছিল। বিষয়টি চলতে থাকবে—এই অনুমানে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ সুদহার কমাতে পারে এমন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান অবস্থার পর ফেডারেল রিজার্ভ এই উদ্যোগ নেবে বলে মনে হয় না। এই অবস্থায় ব্যবসায়ীরা ফেডারেল রিজার্ভের আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠকের দিকে লক্ষ্য রাখছেন। তাদের আশা, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার অপরিবর্তিত রাখবে।

আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাগেইন ক্যাপিটাল এলএলসির অংশীদার জন কিলডাফ বলেন, ‘দীর্ঘ সময়ের জন্য জ্বালানি তেলের দাম বেশি থাকলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি ধীর করে দিতে পারে এবং জ্বালানির চাহিদায় ভাটা তৈরি করতে পারে।’ তার ভাষ্যমতে, ২০২৪ সালে জ্বালানি তেলের চাহিদা বৃদ্ধি হবে খুবই ধীর গতিতে।

এদিকে, বিশ্বের জ্বালানি তেলের উৎপাদক শীর্ষ দেশগুলোর জোট ওপেক ও আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা চলতি সপ্তাহে তাদের জ্বালানি বাজার সংক্রান্ত পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে উভয় সংস্থার পূর্বাভাসে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। এ বিষয়ে বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কেপলারের বিশ্লেষক ম্যাট স্মিথ বলেন, ‘তেলের বাজার সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব এখনো বাড়ছে।’

তাঁর মতে চাহিদায় ঘাটতি থাকার ফলে ওপেক প্লাস যদি বাজারে জ্বালানি সরবরাহ কমিয়েও দেয় তারপরও দরপতন ঠেকানোর ক্ষেত্রে তা খুব একটা সহায়ক হবে না। উল্লেখ্য, এরই মধ্যে ওপেক প্লাস ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে প্রতিদিন ২২ লাখ ব্যারেল তেল কম উৎপাদন করার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। সূত্র: আজকের পত্রিকা।

শেয়ার করুন