নিউইয়র্ক     শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিতর্কের পরও কেন এত জনপ্রিয় ট্রাম্প?

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২২ | ০৪:১৫ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২২ | ০৪:১৫ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
বিতর্কের পরও কেন এত জনপ্রিয় ট্রাম্প?

কয়েক ঘণ্টা পরই যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন। মার্কিন কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ শেষ পর্যন্ত কার হাতে যাবে, ভোটাভুটির পরই তা নির্ধারিত হবে। বেশ কিছু জরিপে বলা হচ্ছে, ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটের চেয়ে এগিয়ে আছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকানরা। ক্যাপিটল হিল কেলেঙ্কারি ও বিতর্ক সত্ত্বেও সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা কমেনি বলে মনে করছেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

বিতর্ক আর ডোনাল্ড ট্রাম্প যেন একই সূত্রে গাঁথা। জনসম্মুখে বেফাস কথাবার্তা, উদ্ভট সব কর্মকাণ্ড, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে প্রকাশ্যে ‘নিকৃষ্টতম প্রেসিডেন্ট’ অ্যাখ্যা দেয়া কিংবা আবারও প্রেসিডন্টে পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেয়া; এসব যেন কেবল ট্রাম্পের পক্ষেই সম্ভব। কিন্তু শত সমালোচনা আর বিতর্ক সত্ত্বেও জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের।

এমনকি ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার মতো কেলেঙ্কারির পরও এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনের জনমত জরিপ ট্রাম্পের রিপাবলিকানদের পক্ষে বলে জানায় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। বিশ্লেষকরা বলছেন, রিপাবলিকান পার্টির একটা বড় অংশ এখনও তাকে সমর্থন করে।

কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প এত জনপ্রিয় কেন? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জনপ্রিয়তা অর্জনে নিজস্ব কিছু ফর্মূলা রয়েছে ট্রাম্পের। যেগুলো অনুসরণ করে সাধারণের সমর্থন যোগানোর চেষ্টা করেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের উদ্বেগের বিষয় হলো দেশের টালমাটাল অর্থনীতি, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা, বন্দুক সহিংসতা ও নারী অধিকারের মতো বিষয়গুলো। আর ট্রাম্প জনগণের নৈরাশ্য, অনিশ্চয়তা, হুমকি ও ভয়কে জনপ্রিয়তা অর্জনের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেন। সমস্যার সমাধান হোক বা না হোক, তিনি এসব সংকট কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে সমর্থকদের মধ্যে আশা জাগাতে সক্ষম। যেটাকে বলা হয়, ‘সাংস্কৃতিক হতাশাবাদের’ সুযোগ নেয়া। আর এটিই ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় সাফল্য।

ব্যক্তি হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজস্ব কিছু স্টাইল রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের মধ্যে নিজেকে হিরো হিসেবে উপস্থাপনের প্রবণতা আছে। ২০১৬ সালের নির্বাচন থেকেই ট্রাম্প ‘আমেরিকান শত্রুদের’ বিপরীতে নিজেকে হিরো দাবি করে আসছেন। যেকোনো জনসমাবেশে তার আগমনও ঘটে সেভাবেই। এগুলো মানুষকে খুব সহজে প্রভাবিত করে।

অনেকেই আবার ট্রাম্পকে মিথ্যাবাদী অ্যাখ্যা দেন। ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ট্রাম্প ৩০ হাজারের বেশি মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর সব অভিযোগ করেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই মিথ্যাচারকে তার প্রচারণার অভিনব কৌশল হিসেবে দেখেন বিশ্লেষকরা। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন কোনো বিষয় সম্পর্কে বারবার মিথ্যা বলা হয়, তখন তা একসময় সত্যে রূপান্তরিত হয়। মানুষ সেটি বিশ্বাস করতে শুরু করে।
জানা গেছে, ট্রাম্প তার শাসনামলে এতটাই মিথ্যাচার করেছিলেন যে অনেক মার্কিনি সত্যের প্রতি বিদ্বেষী হয়ে উঠেছিলেন। এমনকি তাদের মানসিকতাও পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল।

শেয়ার করুন