নিউইয়র্ক     শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দুই দ্বীপকে রাষ্ট্রের মর্যাদা দিলো যুক্তরাষ্ট্র

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দুই দ্বীপকে রাষ্ট্রের মর্যাদা দিলো যুক্তরাষ্ট্র

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দুই দ্বীপকে রাষ্ট্রের মর্যাদা দিলো যুক্তরাষ্ট্র । ছবি- সংগৃহীত

প্রশান্ত মহাসাগরে দ্য কুক আইল্যান্ড ও নিউই দ্বীপকে ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের’ মর্যাদা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বলা হচ্ছে, চীনকে এই অঞ্চলে আরেকটু চাপে রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, যুক্তরাষ্ট্র এই দুটি দ্বীপরাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। বাইডেনের মতে, এই দুই দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা হবে শিগগিরই।

এতে করে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চল ‘মুক্ত ও অবাধ’ হবে বলে বাইডেনের ধারণা। তার মতে, এই পদক্ষেপ এই অঞ্চলে অবৈধ মাছ ধরা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি অঞ্চলটি অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে হাঁটবে। সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও নিউই দ্বীপের প্রধান ডালটন টাগেলাগির যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে কূটনৈতিক সম্পর্কের শুরু হয়।

সদ্য স্বাধীনতা পাওয়া দুই দ্বীপ রাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যা ২০ হাজারের কাছাকাছি। তবে, প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক এলাকায় তাদের দখল অনেকটাই। স্বশাসিত দেশ হলেও নিউজিল্যান্ডের ওপর পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতির জন্য নির্ভরশীল ছিল তারা। বিশ্ব রাজনীতিতে বেশ কয়েক বছর গুরুত্বহীন হয়ে ছিল প্রশান্ত মহাসাগরের এই অঞ্চল। কিন্তু, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ক্ষমতার লড়াইয়ে খুব অর্থবহ হয়ে উঠেছে প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চল।

যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণা বিশেষ একটি সময়ে এলো, যখন দোরগোড়ায় ১৮টি সদস্যদের নিয়ে প্যাসিফিক আইল্যান্ডস ফোরাম। এই ফোরাম যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় প্রভাব বিস্তারের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ। এই ফোরামে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় রাষ্ট্রসহ বিভিন্ন ছোট দ্বীপপুঞ্জ। কিন্তু, এই ফোরামে নেই সলোমন দ্বীপের প্রধানমন্ত্রী মানাসেহ সোগাভারে, কারণ তার দেশ চীনের ঘনিষ্ঠ। ফোরামের উদ্বোধনী পর্বে বাইডেন বলেন, ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলকে নিরাপদ, মুক্ত, অবাধ ও উন্নয়নমুখী করতে যুক্তরাষ্ট্র বদ্ধপরিকর। এই লক্ষ্যে সবাই মিলে কাজ করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

এই দুটি দ্বীপরাষ্ট্রের স্বীকৃতি যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের কাজ আরও বিস্তৃত করতে সাহায্য করবে বলে জানান বাইডেন। তিনি আরও জানান, এখানে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে, অবৈধ মাছ ধরা নিয়ন্ত্রণে এবং গণস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নখাতে ২০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য উদ্যোগ নেয়া হবে। সূত্র: ডয়েচে ভেলে

শেয়ার করুন