নিউইয়র্ক     রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা জিলা এসোসিয়েশান এর নতুন কার্যকরী কমিটি গঠনকল্পে আহুত সভা তুমুল বাকবিতন্ডার পর পন্ড

পরিচয় রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ | ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ | ০৯:২২ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
ঢাকা জিলা এসোসিয়েশান এর নতুন কার্যকরী কমিটি গঠনকল্পে আহুত সভা তুমুল বাকবিতন্ডার পর পন্ড

নিউ ইয়র্কে বসবাসরত ঢাকা জেলাবাসীদের সংগঠন ঢাকা জিলা এসোসিয়েশান এর নতুন কার্যকরী কমিটি গঠনকল্পে গত সোমবার ৮ জানুয়ারী নির্বাচন কমিশন কর্তৃক আহুত সভাটি কয়েক ঘন্টা চলার পর শেষ পর্যন্ত তুমুল বাকবিতন্ডার পর পন্ড হয়ে যায়।

নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে নবান্ন রেষ্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সভাটি পন্ড হওয়ার আগে তুমুল উত্তেজনা ও বাকবিতন্ডার মধ্যে উপস্থিত একজন কর্তৃক প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে লক্ষ্য করে তাঁর সামনের টেবিলটি ধাক্কা দিলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এতে বেশ কিছু সদস্য ক্ষোভে মারমুখী হয়ে উঠলেও কয়েকজন পরিস্থিতি মান্ত করতে এগিয়ে আসেন ঘোষণা দেন। পরবর্তী পরিস্থিতি শান্ত হলেও সভা অনির্দিষ্ট কালের জন্য মুলতবী ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

এর আগে সভা পন্ড হওয়ার আগে তিনি ঘোষণা দেন ঢাকা জিলা এসোসিয়েশান এর নতুন কার্যকরী কমিটি ভোটারদের ভোটে নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে। যদিও সিলেকশান পদ্ধতির মাধ্যমে কমিটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের আগ্রহ ছিল বেশী, কিন্তু যেহেতু প্রসিডেন্ট পদে ৫ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন এবং প্রসিডেন্ট পদে ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্বাচন চান, সেহেতু ভোটাভুটি ছাড়া বিকল্প নেই। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কর্তৃক ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্বাচনের ঘোষনা দেওয়ার পর বিদায়ী সভাপতি আরিফ দাড়িয়ে বলেন, যারা অতীতে কোনদিন ঢাকা জিলা এসোসিয়েশানের সাথে কোন কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন না, তারা হঠাত্‌ করে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। আরিফের এই বক্তব্যের পক্ষে বিপক্ষে তুমুল উত্তেজনা শুরু হয় এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঘোষণা দেন ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বিদায়ী কমিটি যা নির্বাচন কমিশন গঠনের পুর্বে বিলুপ্ত করা হয়েছিল, সেই কমিটি দায়িত্ব পালন করে যাবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উক্ত ঘোষনার পর বাকবিতন্ডা চরমে পৌঁছায় এবং শেষ পর্যন্ত সভাটি পন্ড হয়ে যায়।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সালাউদ্দিন খোকন জানান যতোক্ষণ পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উপর হামলাকারীর বিচার ও শাস্তি হবে ততোক্ষণ পর্যন্ত্র সকল কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। তিনি আরো জানান মনোনয়ন বাবদ এদিন ৪৬,১০০ ডলার সংগৃহীত হয়েছে।

সভা পন্ড হওয়ার পর নির্বাচন কমিশন এর ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ঢাকা জেলার ৫টি উপজেলা থেকে ২ জন করে সদস্য নিয়ে ১০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে, নির্বাচন সংক্রান্ত ২য় সভার পুর্বেই ইলেকশান না সিলেকশান – এ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে নির্বাচন কমিশন এর সদস্যরা। তাছাড়া কার্যকরী পরিষদের নির্বাচনে সভা আহবান করা হয় কোন প্রকার নির্বাচনী তফসিল ছাড়াই। মনোনয়ন ফি বাবদ হাজার হাজার ডলার গ্রহণ করা হয় কোন শর্ত, জবাবদিহীতা, বৈধ রশিদ ছাড়া। এভাবে কমিটি নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি যুক্তরাষ্ট্রে আইনসম্মত কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

শেয়ার করুন