ভরে গেলে গ্যারিসন ছুটে যায় বিপুল বন্দুক
ঘরে ঘরে খুন করে স্বপ্নময় ঘুম।
দুমড়ে গড়িয়ে যায় শিশুর দোলনা
ওডেসার সিঁড়ির মতো বত্রিশ ধানমন্ডি সিঁড়ি।
ভরে গেলে গ্যারিসন ছুটে যায় বিপুল বারুদ
অনেক আকাশ পোড়ে— পোড়া ডানার পালকে ওড়ে
ইনফার্নো দীঘল আগুন —
চিরকাল কল্যাণের নামে ছোটে রাষ্ট্রবিজ্ঞান
আগুনে কামানে মোড়া কনভয় পেন্টাটুস।
আগুন নগর ছোটে অরণ্যের দিকে
অরণ্য পোড়ে সবুজ ছাই
সমুদ্র বোঝাই টর্পেডো ডুবো ড্রোন —
বেসামাল জল, ভয়ার্ত পাতাল
মাশরুম মেঘে টলোমল জল খোঁজে ঠাঁই
কাঁন্দে তিমি জলের জিকিরে পসিডোন, জলনবী খোয়াজ খিজির।
শব্দভূক সীসা ঢেলে বধির করেছি কান —
প্রতীকে, পর্দায় ঢাকি রাগীমুখ, নির্বিরোধ কাল।
তোমার বুকে চাই জননীর মতো জায়নামাজ—
বেদীতে সুবাহ সাদিক চাই কল্যাণের আজান।
কাল সকালে কেউ চড়াবে ন্যুকে আগুনের অন্ধকার—শ্মশানের গন্ধের মতো উড়বে মানুষের ছাই;
ডাকবে না মাতিসের নগ্ননীল জ্যামিতির বাঁক, গোলাপ উরুর ওম।
রোদের ফুলের মতো কপালে পরে নাও সান্দ্র বিকাল।
লাক্ষ্মা পায়রার মতো নেচে যাক ফুলেল শাড়ির পাড়,
চন্দ্রমৌলি গ্রীবায় যমজ লিখি ম্যাড্রিগাল।
ড্রেনের সাঁতার ছেড়ে ডুবে যাই নিটোল তোমার জলে।