নিউইয়র্ক     রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেতানিয়াহুর ঘড়ি ধরেই হামাসের হামলা: ট্রাম্প

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৪ | ০১:৪৩ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৭ মে ২০২৪ | ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
নেতানিয়াহুর ঘড়ি ধরেই হামাসের হামলা: ট্রাম্প

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প টাইম ম্যাগাজিনকে বলেছেন যে ৭ অক্টোবরে হামাসের হামলা নেতানিয়াহুর ঘড়ি ধরে হয়েছে। মঙ্গলবার টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে এ কথা বলেছেন ট্রাম্প।

নেতানিয়াহু এবং হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘এটি তার নজরে ছিল।’

‘বিবিকে (নেতানিয়াহুর ডাকনাম) নিয়ে আমার একটি খারাপ অভিজ্ঞতা আছে’ জানিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, ২০২০ সালে ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা একটি যৌথ মার্কিন-ইসরায়েল অপারেশন হওয়ার কথা ছিলো, যা নেতানিয়াহু নির্ধারিত সময়ে মার্কিন বাহিনীর অপারেশনের দু’দিন আগেই করে ফেলেছিলেন। ‘এটি এমন কিছু ছিল যা আমি কখনই ভুলিনি’, বলেন তিনি।

গাজা যুদ্ধ সমাপ্তির দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য তিনি ইসরাইলকে মার্কিন সামরিক সহায়তা বন্ধ করার বিষয়ে বিবেচনা করবেন কিনা জানতে চাওয়া হলে, ট্রাম্প এটি নিশ্চিত করেননি, তবে তিনি এটিও অস্বীকার করেননি। ট্রাম্প ইতোমধ্যে সাম্প্রতিক মাসগুলিতে একাধিকবার ‘যুদ্ধ শেষ করার’ আহ্বান জানিয়েছেন এবং এ যুদ্ধ পরিচালনায় ইসরাইলি নীতির সমালোচনা করেছেন এবং যুদ্ধ নিয়ে ইসরাইলের কূটনীতির প্রচেষ্টারও সমালোচনা করেছেন।

নেতানিয়াহুর সমালোচনার সাথে সাথে ট্রাম্প সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেন, দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হলে তিনি ইরানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সংঘাতে ইসরাইলের পাশে দাঁড়াবেন, এটি এমন একটি দৃশ্যকল্প যা ইতোমধ্যে দুই সপ্তাহ আগেই বাস্তবে রূপ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যদি তারা ইসরাইল আক্রমণ করে, হ্যাঁ, আমরা সেখানে থাকব।’

ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের উপর ভিত্তি করে একটি শান্তি পরিকল্পনার কথা বলছিলেন, কিন্তু এখন ইসরাইলের পাশে শান্তিপূর্ণভাবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘একটা সময় ছিল যখন আমি ভেবেছিলাম দুই-রাষ্ট্র কাজ করতে পারে।’ ‘এখন আমি মনে করি দ্বি-রাষ্ট্র খুব, খুব কঠিন হতে চলেছে’ বলেন তিনি।

ট্রাম্প ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ পুষে রেখেছেন যখন তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে নির্বাচনে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাতে ফোন করেছিলেন, যা ট্রাম্প জালিয়াতি বলে দাবি করেছিলেন। তার রাষ্ট্রপতিত্বের শেষের পর থেকে, ট্রাম্প নেতানিয়াহু সম্পর্কে বেশ কয়েকটি কঠোর বিবৃতি দিয়েছেন এবং এমনকি এক সাক্ষাৎকারে তাকে অভিশাপও দেন।

২০২৩ সালের অক্টোবরে, হামাসের হামলার কয়েকদিন পর, ট্রাম্প ইসরাইলের ইন্টিলিজেন্স এবং অপারেশনাল ব্যর্থতার জন্য সমালোচনা করেছিলেন। তিনি সেই সময় নেতানিয়াহুকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, তিনি এই হামলায় ‘খুব বাজেভাবে আহত’ হয়েছেন। ট্রাম্প অভিযোগ করেনযে, ‘তিনি (নেতানিয়াহু) প্রস্তুত ছিলেন না এবং ইসরায়েলও প্রস্তুত ছিল না। হাজার হাজার মানুষ এটি সম্পর্কে জানত এবং তারা এটিকে ঘটতে দেয়।’

ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন যে তিনি ক্ষমতায় থাকলে ৭ অক্টোবরের ঘটনা ঘটত না এবং বলেছিলেন যে বাইডেন মার্চে ‘ইসরাইলকে ত্যাগ করেছিলেন’। তিনি নেতানিয়াহুকে যুদ্ধ শেষ করার আহ্বান জানান এবং ‘এটি অবিলম্বে শেষ করার’ দাবি জানান। ট্রাম্প এসময় বলেন, ‘আমাদের বিশ্বে শান্তি দরকার। আমরা এর কাছাকাছি ছিলাম। আমরা ‘আব্রাহাম চুক্তি’ করেছি এবং আমি বাজি ধরে বলতে পারি যে ‘আব্রাহাম চুক্তি’তে ইরান থাকত।’

শেয়ার করুন