নিউইয়র্ক     রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একতরফা ভোট করে টিকে থাকা কঠিন হবে: বদরুদ্দীন উমর

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
একতরফা ভোট করে টিকে থাকা কঠিন হবে: বদরুদ্দীন উমর

বাংলাদেশের রাষ্ট্রচিন্তাবিদ, তাত্ত্বিক ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে বদরুদ্দীন উমরের অবস্থান সামনের সারিতে। পিতা আবুল হাশিম ছিলেন উপমহাদেশের মুসলিম জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নেতা। পারিবারিকভাবেই রাজনৈতিক উত্তরাধিকার বহনকারী বদরুদ্দীন উমর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন ৫৩ বছর ধরে। দেশের রাজনীতি ও আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন বণিক বার্তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনিকা মাহজাবিন

প্রশ্ন: দেশের রাজনীতির বর্তমান সংকট নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ বলুন।

বদরুদ্দীন উমর: দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব নাজুক। রাজনৈতিক কারণে তা আরো খারাপ হওয়ার পথে। এমন একটি পরিস্থিতিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল যে এভাবে ঘোষণা করা হবে, তা সবারই জানা ছিল। এ নিয়ে বিরোধী দল যত কথাই বলুক না কেন, সবাই জানে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে ক্ষমতাসীনদের চাওয়া অনুযায়ী। সেই সঙ্গে এটিও জানা যে বিরোধিতা সত্ত্বেও তারা নির্বাচন করবেই।

এভাবে নির্বাচন করার কারণ হলো গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থার ওপর আওয়ামী লীগ তার নিয়ন্ত্রণ কায়েম করেছে। এখন আওয়ামী লীগ মানেই সরকার আর সরকার মানে হলো রাষ্ট্র। আর আওয়ামী লীগ যেহেতু নিজেকে রাষ্ট্র মনে করে, সেজন্য সে যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারে। সে সবকিছুই অগ্রাহ্য করতে পারে; যেটা সে করে আসছে। আমলাদের বেতন বাড়িয়ে, পদোন্নতি দিয়ে, বাড়িঘর করার জন্য ঋণের ব্যবস্থা করাসহ নানা কৌশলে আমলাতন্ত্রকে সম্পূর্ণ কুক্ষিগত করেছে।

পাশাপাশি বিরোধী দলের নেতাদের আটক করা হচ্ছে। অন্যদিকে বলা হচ্ছে কার সঙ্গে সংলাপ করব? সংলাপ করতে চাইলে তাদের গ্রেফতারের দরকার ছিল না। তারা সংলাপ চায় না। কারণ সংলাপ করার মানেই হলো তাদের গদি ছাড়তে হবে। একটি লক্ষণীয় বিষয় হলো আগে যা হয়নি; সিপিবির মতো সংগঠন কোনোদিন এভাবে আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করেনি। কিন্তু এবার তারা তা করছে।

বিএনপি নির্বাচনে আসুক সেটি আওয়ামী লীগ চায় না। একতরফা ভোটে জিতে যেতে চায় দলটি। তারা যেসব কাজ করছে সেগুলো দ্বারাই এটি প্রমাণিত হয়।

প্রশ্ন: নির্বাচন কেমন হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?

বদরুদ্দীন উমর: ঘোষিত তফসিল অনুযায়ীই নির্বাচন হবে। এতে আওয়ামী লীগ জিতেও যাবে। সরকার গঠন করবে। তবে তার অর্থ এই নয় যে সরকার টিকে থাকতে পারবে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপিও নির্বাচন করেছিল। সরকারও গঠন করেছিল। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই সেই সরকারকে পদত্যাগ করে পুনরায় নির্বাচন দিতে হয়েছিল। আওয়ামী লীগও এবারে নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় থাকতে পারবে বলে মনে হয় না। এর পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। অভ্যন্তরীণ নানা রকম দ্বন্দ্ব রয়েছে। দেশের অর্থনীতির অবস্থার আরো অবনতি হবে। কাজেই অর্থনৈতিক ও অভ্যন্তরীণ কারণে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে।

এর সঙ্গে রয়েছে বিদেশীদের চাপ। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা হলো রফতানির প্রধান গন্তব্য। এদের ওপর বাংলাদেশের অর্থনীতি নির্ভর করছে। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ আছে। তারা এখন মোচড় দিলে এখানকার অর্থনীতির কী অবস্থা হবে? যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা নির্বাচন হয়ে গেলেই শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। যুক্তরাষ্ট্র একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চাচ্ছে। আর নির্বাচন হলেও তারা ক্ষমতাসীন সরকারকে ছেড়ে দেবে না। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যাস এমন না।

আবার নির্বাচন হয়ে গেলে বিএনপিও ছেড়ে দেবে না। তারা আন্দোলন চালাতে গেলে এর পাশাপাশি অর্থনৈতিক পতনও ঘটবে। এ নির্বাচনের ছয় মাস, এক বছর বা দুই বছর পর আরেকটি নির্বাচন হতে পারে। এ সরকারকে যেতে হবে।

প্রশ্ন: বিদেশী পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণ নির্বাচনে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে আপনি মনে করেন?

বদরুদ্দীন উমর: নির্বাচনে বিদেশী পর্যবেক্ষক যতই আসুক; তারা কেউ কিছু করতে পারবে না। পর্যবেক্ষক থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতাসীন সরকার আগে যেভাবে নির্বাচন করেছে এবারো সেভাবেই করবে। ২০১৮ ও ২০১৪ সালেও এখানে অনেক পর্যবেক্ষক ছিল। তাদের উপস্থিতিতেই সবকিছু হয়েছে। এখন যদি হাজার খানেক পর্যবেক্ষক আসে, তাও তা আগের মতোই হবে। পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনে কোনো হেরফের ঘটাতে পারবে না।

প্রশ্ন: বিএনপির রাজনীতি নিয়ে আপনার মূল্যায়ন জানতে চাই।

বদরুদ্দীন উমর: বিএনপি কর্মীদের নানা রকম জোর-জুলুম করে আটক করেছে। তারা বলছে, ১০ হাজার লোককে আটক করেছে। ২০১৪ সালে চিন্তার দারিদ্র্য ও দেউলিয়াত্বের কারণে বিএনপি নানা রকম জ্বালাও-পোড়াও করেছিল। এভাবে জ্বালাও-পোড়াও করে তো কোনো সমস্যার সমাধান হয় না। এমনকি হয়ওনি।

তবে এখন তারা যে অবরোধ দিচ্ছে সেটি ২০১৪ সালের চেয়ে আলাদা। অসুবিধা সত্ত্বেও তাদের অবরোধে জনগণের ব্যাপক সমর্থন আছে। জনগণের সমর্থন ছাড়া সেটি সম্ভব হতো না। এখন গাড়িতে আগুন দেয়ার জন্য বিএনপিকে দায়ী করছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছে, কারা এটি করেছে সেটি নির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। তাহলে কারা এটি করছে? এটা যে বিএনপি করছে এমন কোনো প্রমাণ কিন্তু নেই।

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যে শুধু নির্বাচনের দিন জাল ভোট ঠেকালেই হবে তা নয়; এর জন্য একটি পরিবেশও দরকার। নইলে নির্বাচন কীভাবে হবে? এখানে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। বিরোধী দলের লোকেরা বাড়িঘরে থাকতে পারছে না।

ক্ষমতাসীনরা এখানে যা করছে তা কোনোদিন কেউ করেনি। পাকিস্তান আমলেও না, এমনকি ব্রিটিশরাও করেনি। কর্মীকে না পেলে তার বাপ-মা-ভাই-বোনকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এটা তো চরম অস্বাভাবিক একটি অবস্থা। কোনো গোপন বিষয়ও না। এ নিয়ে অনেক লেখালেখি হচ্ছে। এখানে জনগণের খাদ্য থেকে আরম্ভ করে জীবনের নিরাপত্তা পর্যন্ত নেই।

তবে বিএনপির আন্দোলনটি আরো শক্তিশালী হতে পারত যদি তারা এক দফার পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধি ও গার্মেন্ট শ্রমিকদের বিষয় নিয়ে আসত। প্রথম দিকে তারা মূল্যবৃদ্ধির কথা বলেছিল বলেই জনগণ তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। কিন্তু এখনো তারা এক দফার কথাই বলছে। জনগণের দুরবস্থার কথা তো বলতে হবে, শুধু নির্বাচনের কথা বললেই হবে না। জনগণের কথা বলে এর সঙ্গে যদি নির্বাচনের কথা বলত, তাহলে কিন্তু আন্দোলন আরো জোরদার হতো।

প্রশ্ন: চলমান রাজনীতিতে বহিঃশক্তিগুলো কীভাবে প্রভাব ফেলবে বলে আপনি মনে করেন?

বদরুদ্দীন উমর: এখানে ভারত, রাশিয়া ও চীন ক্ষমতাসীনদের সমর্থন করছে। তারা বলছে, আমরা তাদেরকেই আবার চাই। এটা তো আগে কেউ এমনভাবে বলেনি। তারা সবাই নিজের দেশের স্বার্থের জন্য সমর্থন করছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র উদ্ধারের কোনো চিন্তা রাশিয়া বা চীনের নেই। সেটি থাকলে তো ক্ষমতাসীনদের তারা সমর্থন দিত না। এখানে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে তো জনগণের কোনো সম্পর্কই নেই।

রাশিয়া-চীন ক্ষমতাসীনদের সমর্থন করছে বলেই এখানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। সেই দ্বন্দ্ব থেকেই যুক্তরাষ্ট্র এখানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। এর সঙ্গে গণতন্ত্রের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রের কথা বলায় এখানে বিএনপির আন্দোলন আন্তর্জাতিক সমর্থন পেয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ কাকে চায় তা বলছে না। কিন্তু কাকে চায় না তা-ও বলছে না। তারা জানে যে এখানে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের থাকা সম্ভব হবে না। এমন একটি অবস্থায় ভারত যেভাবে ক্ষমতাসীনদের পক্ষে থাকার কথা বলছে তা ভোটের দিক থেকে আওয়ামী লীগের জন্য সহায়ক হবে বলে আমার মনে হয় না।

প্রশ্ন: দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ বলুন।

বদরুদ্দীন উমর: অর্থনৈতিক সংকটের সবচেয়ে বড় বিষয় হলো বাজারের ওপর কারো কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বৈদেশিক মুদ্রা নেই, রফতানি কমে যাচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে এটি একটি সংকট। জনগণের জন্য সবচেয়ে বড় সংকট হলো ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি। জনগণের প্রকৃত আয় বাড়ছে না। মজুর বা মধ্যবিত্তের আয় বাড়ছে না। অনিয়ন্ত্রিতভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। বাড়ছে মানে কী? ডিমের দাম লাফ দিয়ে ৪০ থেকে ৫০ তারপর ৬০ টাকা হয়ে গেল। অল্পদিনের মধ্যেই এত বৃদ্ধি!

দেশে এখন ব্যবসায়ীদের রাজত্ব। জাতীয় সংসদের ৭০-৮০ শতাংশ সদস্য সরাসরি ব্যবসায়ী। বাকি ২০ শতাংশও নানাভাবে ব্যবসায় যুক্ত। আওয়ামী লীগের শাসন মানেই ব্যবসায়ীদের শাসন। শ্রেণীগতভাবেই তারা ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি। ব্যবসায়ীরাই এখন পুরো দেশ নিয়ন্ত্রণ করছে। বর্তমানের মূল্যবৃদ্ধির কারণও তাই।

এসব কিছুর সঙ্গে নানা মেগা প্রজেক্ট করতে গিয়ে যে ঋণ হয়েছে, তাতে আগামী দিনে সর্বনাশ হবে। পরিশোধের সময় আরম্ভ হচ্ছে। এ ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে সংকট দেখা দেবে। পুঁজির ক্ষেত্রেও অভ্যন্তরীণ পুঁজি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সংকট দেখা দেবে।

প্রশ্ন: বিরাজমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে?

বদরুদ্দীন উমর: জনগণের মধ্যে আওয়ামী লীগবিরোধী একটা মনোভাব তৈরি হয়েছে। এটা শুধু আজকেই নয়; ২০০৯ সাল থেকেই শুরু হয়েছে। ওই সময়ের পর থেকেই তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা জানত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তারা পরের নির্বাচন জিততে পারবে না। এজন্যই তারা ২০১২ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার খারিজ করে সংসদে আইন করেছে; যেটির জন্য তারা নিজেরাই ১৯৯৬ সালে আন্দোলন করেছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কারণে ১৯৯৬ সালে যেমন বিএনপির থাকা সম্ভব হয়নি, তেমনটি আওয়ামী লীগের বেলায়ও হতো না।

জনগণের সঙ্গে নানাভাবে অন্যায় হয়েছে। এখানে গার্মেন্টে শ্রমিকরা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে কম মজুরি পায়। এমনকি পাকিস্তানের শ্রমিকরাও বাংলাদেশের চেয়ে বেশি মজুরি পায়।

এসব কারণেই জনগণ এখন পরিবর্তন চাচ্ছে। যে পরিবর্তন সাধারণ অবস্থায়ও সম্ভব। এখন জনগণ চাচ্ছে নতুন কেউ আসুক। বিএনপি এসে যে বেহেশত কায়েম করবে, তা-ও নয়। তবু জনগণ পরিবর্তন চাচ্ছে। তারা মনে করছে বিএনপি খারাপ হলেও এত খারাপ হবে না। অন্তত কিছুদিনের জন্য এসব অপকর্ম করতে পারবে না।

প্রশ্ন: বর্তমান পরিস্থিতিতে কি নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণ ঘটবে?

বদরুদ্দীন উমর: নতুন মেরুকরণ তো হয়েই গেছে। একদিকে আছে আওয়ামী লীগ। আছে রাশেদ খান মেননের ওয়ার্কার্স পার্টি আর হাসানুল হক ইনুর জাসদ। তাদের তো দেশে কোনো শক্তি নেই। আরো কতগুলো রাজনৈতিক দল তাদের সঙ্গে আছে। জাতীয় পার্টি কী করবে তার ঠিক নেই। অনিশ্চিত একটি অবস্থা। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী জোট ও সিপিবিসহ বামপন্থী মোর্চা আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করছে।

আওয়ামী লীগে প্রকৃতপক্ষে কোনো শক্তি নেই। বিরোধী পক্ষে বিএনপি ছাড়াও অন্য শক্তি আছে। কাজেই মেরুকরণ হয়েই আছে। আর কোনো মেরুকরণ সম্ভব না।

প্রশ্ন: এমন এক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের আন্দোলনকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

বদরুদ্দীন উমর: গার্মেন্টের শ্রমিকরা চায় মজুরি বৃদ্ধি। জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের এমপিরাই গার্মেন্টের মালিক। কাজেই সরকারও এ গার্মেন্ট মালিকদেরই। এ শিল্প নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কথা বলছে। তারা এখানকার সবচেয়ে বড় গ্রাহক। প্রডাক্টিভিটির একটি প্রশ্ন রয়েছে। যন্ত্রপাতি নতুন হলে উৎপাদন ভালো হয়। এর পরই হলো মানুষের অবস্থা। মানুষ যদি খেতে না পারে, সেই সঙ্গে অনেক সুবিধা না পায় তাহলে প্রডাক্টিভিটির ওপর প্রভাব পড়েই। যুক্তরাষ্ট্র চায় এখানকার প্রডাক্টিভিটি বেশি হোক, তাদের মজুরি বেশি হোক। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের চালাকি হলো এ মুহূর্তে মজুরির কথা বললে সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার হয়। মুখ্যত এটিই প্রধান কারণ। ছবি: মাসফিকুর সোহান

শেয়ার করুন