নিউইয়র্ক     শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘুষ মামলায় আদালতের আদেশ লঙ্ঘন, ট্রাম্পের শাস্তি চান প্রসিকিউটররা

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-

ফৌজদারি ঘুষ মামলায় আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের জন্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাস্তি চেয়েছেন প্রসিকিউটররা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এই মামলার তত্ত্বাবধানকারী বিচারকের কাছে ট্রাম্পকে ১০ হাজার ডলার জরিমানা করার দাবি জানান। এ মামলার সাক্ষী এবং মামলার সঙ্গে জড়িত অন্যদের নিয়ে সমালোচনা করা থেকে ট্রাম্পকে বিরত রাখার জন্য ওই আদেশ জারি করেছিল আদালত। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

বিচারকাজ চলার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্প। তখন নিউ ইয়র্কের প্রসিকিউটর ক্রিস্টোফার কনরয় সাবেক এই প্রেসিডেন্টের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ-এ করা পোস্টগুলোর কথা উল্লেখ করেন। ওই পোস্টগুলোতে ট্রাম্প ঘুষ মামলার বিষয়ে কথা বলেছেন। কনরয় বলেছিলেন, এগুলো ‘গ্যাগ অর্ডার’ বা আদালতের আদেশের লঙ্ঘন। বিচারপতি জুয়ান মার্চানকে কনরয় বলেছিলেন ‘বিবাদী বারবার এই আদেশ লঙ্ঘন করেছেন এবং তিনি থামেনি। আদালতের উচিত তাকে এখন অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা।’ আদালতে ট্রাম্পের করা ১০ এপ্রিলের একটি পোস্টের ইঙ্গিত করেন কনরয়।

ওই পোস্টে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস এবং তার সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেনকে ‘স্লিজব্যাগ’ বা ‘অসম্মানিত’ ব্যক্তি বলে অভিহিত করা হয়। উভয় এই মামলার বিচারে সাক্ষ্য দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কনরয় বলেছিলেন, ট্রাম্পের অন্য পোস্টগুলোতেও অনেক কথা প্রকাশ করা হয়েছে, যা আদালতের আদেশবহির্ভূত। এ বিষয়ে কনরয় আদালতকে বলেন, ‘তিনি জানেন তাকে ঠিক কী করার অনুমতি দেওয়া হয়নি এবং যেভাবেই হোক তিনি তা করেন।’ এসময় এই প্রসিকিউটর জোর দিয়ে বলেন, ‘তার এই আদেশ অমান্য ইচ্ছাকৃত। এটা উদ্দেশ্যমূলক।’ এভাবে আদালতের আদেশ অমান্য করার দায়ে ট্রাম্পকে প্রত্যেকবারের জন্য ১০ হাজার ডলার করে জরিমানা করার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রসিকিউটররা।

বিচারক মার্চানকে প্রসিকিউটররা আরও বলেন, তিনি যাতে ট্রাম্পকে মনে করিয়ে দেন, এভাবে আদেশ লঙ্ঘন করতে থাকলে আরও গুরুতর পরিণতির মুখোমুখি হতে পারেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। আদালতের আদেশ অমান্য করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ দিনের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিচারক ট্রাম্পকে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিতে পারবেন।বিচারকের ওই গ্যাগ অর্ডার ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে সাক্ষী, আদালতের কর্মকর্তা এবং তাদের আত্মীয়দের সমালোচনা করায় বাধা দেয়। তবে এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, এই আদেশ তার সাংবিধানিক বাকস্বাধীনতার অধিকারের লঙ্ঘন।

শেয়ার করুন