নিউইয়র্ক     সোমবার, ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেনে দখল করা ভূমি নিজের সঙ্গে যুক্ত করতে উদ্যোগ নিচ্ছে রাশিয়া

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২২ | ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২০ জুলাই ২০২২ | ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
ইউক্রেনে দখল করা ভূমি নিজের সঙ্গে যুক্ত করতে উদ্যোগ নিচ্ছে রাশিয়া

ইউক্রেনের দখল করা এলাকাগুলো নিজের করে নিতে চায় রাশিয়া। মার্কিন গোয়েন্দারা সেই তথ্যপ্রমাণ যোগার করেছেন। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ বিশ্বাস করে, রাশিয়া অবিলম্বে ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চল নিজের সঙ্গে যুক্ত করে নেবে। এ নিয়ে এরইমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছে মস্কো। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

খবরে জানানো হয়, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া দখলে নেয় রাশিয়া। সেখানে একটি গণভোট আয়োজন করা হয়, যাতে প্রায় সকল মানুষ রাশিয়ায় যোগ দেয়ার পক্ষে ভোট দেন। এই একই কাজ করা হতে পারে ইউক্রেনের ডনবাসের প্রদেশগুলোতেও। এ নিয়ে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এই মধ্যেই রাশিয়া কাজ শুরু করে দিয়েছে। ইউক্রেনের দখল করা এলাকায় সাজানো গণভোট আয়োজন করা হতে পারে। এতে বাসিন্দাদের কাছে প্রশ্ন রাখা হবে যে, তারা রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে চায় কিনা।আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই এ ধরনের গণভোট আয়োজিত হতে পারে।
ইউক্রেনের অংশ ক্রাইমিয়াকে যখন ২০১৪ সালে রাশিয়া নিজেদের সাথে অন্তর্ভুক্ত করে নেয়। যদিও এখনও বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই রাশিয়ার এই পদক্ষেপকে অবৈধ মনে করে। জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন জনগণের কাছে আরা এটা পরিষ্কার করে দিতে চাই, কেউ চোখ বন্ধ করে নেই। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০১৪ সালের ঘটনা আবার ঘটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইউক্রেনের দখল করা এলাকা পরিচালনা করার জন্য রাশিয়াপন্থী কর্মকর্তাদের অবৈধভাবে বসিয়েছে দেশটি। তাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, দ্রুত ওই এলাকাকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে গণভোটের আয়োজন করা। এই গণভোটের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে, সার্বভৌম ইউক্রেনের ভূখণ্ডকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করে নেয়ার পক্ষে অধিকার তৈরি করা।

জন কিরবি আরও জানান, তিনি রাশিয়ার পরিকল্পনা বিশ্বের সামনে তুলে ধরছেন যাতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বুঝতে পারে, রাশিয়ার সঙ্গে এসব অঞ্চল যুক্ত করার যেকোনো উদ্যোগ পূর্বপরিকল্পিত, অবৈধ এবং অগ্রহণযোগ্য। সে ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হলে যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্ররা দ্রুত পাল্টা জবাব দেবে। প্রথম দফায় খারসন, যাপোরিযজিয়া, দনেৎস্ক এবং লুহানস্ক এলাকা রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা হতে পারে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন