নিউইয়র্ক     রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনের মধ্যস্থতায় জান্তার সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত মিয়ানমারের বিদ্রোহী জোট

পরিচয় ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৪ | ১০:৫৪ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৪ | ১০:৫৬ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
চীনের মধ্যস্থতায় জান্তার সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত মিয়ানমারের বিদ্রোহী জোট

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে জান্তাবিরোধী বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ দেশটির ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তার সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। চীনের মধ্যস্থতায় গত কয়েক মাস ধরে আলোচনার পর উভয়পক্ষের মধ্যে এই সমঝোতা হয়েছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং ১২ জানুয়ারী শুক্রবার বলেন, ‘চীন আশা করছে, মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো চুক্তিটি বাস্তবায়ন, একে অপরের প্রতি সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে পারবে।’

মিয়ানমার সীমান্ত থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে চীনের প্রাদেশিক রাজধানী কুনমিংয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বুধ ও বৃহস্পতিবার আলোচনা হয়েছে। দীর্ঘ সেই বৈঠকের পর চুক্তি স্বাক্ষরে সম্মত হন দু’পক্ষের প্রতিনিধিরা। তারা চীনা সীমান্তে বাসিন্দাদের ক্ষতি না করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।

থ্রি ব্রাদার অ্যালায়েন্সভুক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠী টিএনএলএর এক নেতা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা শত্রুপক্ষের (সামরিক সরকার) সঙ্গে একটি চুক্তি করেছি। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ভবিষ্যতে আমরা আর শত্রুপক্ষের সেনাছাউনি বা তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলোয় হামলা চালাব না। বিপরীতে তারাও আমাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোয় বিমান ও বোমা হামলা থেকে বিরত থাকবে।’

২০২১ সালে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। তার পর থেকে দেশের বিভিন্ন অংশে ব্যাপক বিদ্রোহের মোকাবিলা করছে শাসক জান্তা। গত অক্টোবরের শেষ দিকে ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ উত্তরাঞ্চলে তাদের নিজ এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয়। তার পর থেকে অঞ্চলগুলো উদ্ধারে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে জান্তা বাহিনী। দুই পক্ষের এ লড়াইয়ে চীনের সীমান্তসংলগ্ন উত্তরাঞ্চলে তীব্র সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

জান্তাবিরোধী এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে রাজনৈতিকভাবে আশ্রয় ও মদদ দিচ্ছে মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জোট ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (নাগ)। প্রায় তিন বছর আগে ক্ষমতা দখলের পর থেকে সামরিক বাহিনীর জন্য ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’-এর সম্মিলিত হামলা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয়। দু’পক্ষের এ লড়াইয়ে চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্ত বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি চীনে বার্মিজ শরণার্থীদের ঢেউ আসার পরিস্থিতিও দেখা দিয়েছে।

শেয়ার করুন