নিউইয়র্ক     রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ  | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনকার্ড ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা, দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতি করতে চান সাংসদ ব্যারিস্টার সুমন

পরিচয় রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৪ | ০১:৫৫ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৪ | ০১:৫৫ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনকার্ড ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা, দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতি করতে চান সাংসদ ব্যারিস্টার সুমন

যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাসের জন্য পাওয়া গ্রিনকার্ড ফিরিয়ে দিচ্ছেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। গত বুধবার ২০ মার্চ নিউ ইয়র্কে উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে এ ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এবারই ইমিগ্রান্ট হিসেবে আমেরিকায় আমার শেষ আসা। যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনকার্ড ফেরত দিচ্ছি। যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন, তাঁদের কপালের সঙ্গে আমার কপাল মিলে গেছে। তাই সেকেন্ড কোনো হোম রাখা ঠিক হবে না।’

সংবর্ধনা কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ এন মজুমদার মাষ্টার অফ ল এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এবং জালালাবাদ এসোসিয়েশান অফ আমেরিকার সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটির দুইবারের সাবেক সভাপতি ও তিনবার ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়্যারম্যান এম এ আজিজ।

আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট রিয়াল স্টেট ব্যবসায়ী নূরুল আজিম, অ্যাটর্নি ব্রুস ফিসার, মিজানুর রহমান শেফাজ, মইনুল হক চৌধুরী হেলাল, দেওয়ান বজলু চৌধুরী, হাসান আলী, গিয়াসউদ্দিন, আবুল খায়ের মজনু, শাহ মিজান, শেখ জামাল হোসেন, আলমগীর উদ্দীন, সৈয়দ ইলিয়াস খসরু প্রমুখ।

ব্যারিস্টার সুমন আরো বলেন, ‘আমি যদি মরি আমার এলাকার মানুষের সঙ্গেই মরব। বাঁচলে দেশকে সুন্দর করে গড়ে তুলব। আমি কিংবা আমার পরিবারের কেউ আমেরিকায় কোনো সম্পদের মালিক হব না। হলে আপনারা সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানিয়ে দেবেন। ’

এদিন ব্যারিস্টার সুমন দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, অন্যায়-অবিচার কিংবা কোনো অসঙ্গতি দেখলে আগের মতোই প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন তিনি। সংসদেও তুলে ধরবেন নিজের অবস্থান।

ব্যারিস্টার সুমন আরো বলেন, বাংলাদেশে মার্কিন রাজনীতিবিদদের মতো স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতি করতে চান।

তিনি আরো বলেন, মানুষ যেখানে সম্মান দেয় না সেখানে সম্মান দেয় স্বয়ং বিধাতা। এটার প্রমাণ দিয়েছে আমার এলাকার মানুষ। একজন রানিং মিনিস্টারের বিরুদ্ধে আমাকে এক লাখ ভোটে পাস করিয়েছেন এলাকার ভোটাররা। ব্যারিস্টার সুমন দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সারাজীবন ছাত্রলীগ, যুবলীগ আর আওয়ামী লীগ করেছি, তবুও আমি এখনো স্বতন্ত্র। স্বতন্ত্র হিসেবেই আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। আমার দলের লোকেরাই এখন বলেন ‘আরে ও তো স্বতন্ত্র’। তিনি আরো বলেন, অনেকে মনে করেন, আমি দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় নমিনেশন পাইনি।

তিনি মার্কিন রাজনীতিবিদদের উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানে কোনো তহবিল তছরুপের ঘটনা থাকলে তারা পদত্যাগ করেন। তারপরও তাদের ব্যক্তিগত লাইফ বলে কিছু থাকে। কিন্তু আমি এমন দেশে জন্মাইছি, যেখানে আমার পরিবার তো গেছেই, মানুষের জন্য কাজ করতে করতে আমার সম্পদ দূরের কথা, জীবনও গেছে। আমি আমেরিকানদের দেখাই দিতে চাই যে, আমাদের দেশেও এমন একজন আছে, যিনি চাইলে আন্তর্জাতিক মানের রাজনীতিবিদ হতে পারেন।

প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে জয় লাভ করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

শেয়ার করুন